অধিকারী গড় হিসেবে পরিচিত কাঁথি। সেই কাঁথির পুরসভাতে বিগত তিনদশকে প্রথমবার থাকবেন না অধিকারী পরিবারের কোনও সদস্য। কারণ শান্তিকুঞ্জের কোনও বাসিন্দাই এবারের পুরভোটে প্রার্থী হচ্ছেন না। সদ্যই কাঁথি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হন শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারী। এহেন সৌমেন্দু এর আগে কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন। তবে এবার তাঁকে টিকিট দেয়নি বিজেপি।
উল্লেখ্য, গত দুই বছর বাদ দিলে গত তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে কাঁথি পুরসভায় দাপট বজায় রেখেছিলেন অধিকারীরা। ১৯৯০ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন শিশির অধিকারী। ২০০৬ সালে চেয়ারম্যান হন শুভেন্দু অধিকারী। এরপর ২০১০ সালে শুভেন্দু পদ ছাড়লে ২০২০ পর্যন্ত কাঁথি পুরসভার দায়িত্বে ছিলেন সৌমেন্দু। এরপর অবশ্য পুর প্রশাসক পদ থেকে অপসারিত হন সৌমেন্দু। তৃণমূল ছেড়ে শুভেন্দুর পথে হেঁটে যোগ দেন বিজেপিতে। তবে তখনও তিনি কো-অর্ডিনেটর। তবে এবার তো আর ভোটেই লড়বেন না অধিকারী পরিবারের কেউ।
এর আগে কাঁথির ২১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী হতেন সৌমেন্দু অধিকারী। এবার সেই ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থী করেছে গোবিন্দ খাটুয়াকে। এদিকে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ নিয়ে বেশ সাবধানী বিজেপি। বিদ্রোহ ঠেকাতে লাস্ট পিরিয়ডে গিয়ে জেলায় জেলায় পাঠানো হচ্ছে পুরভোটের জন্য বিজেপির প্রার্থী তালিকা। এক সপ্তাহ হয়নি কাঁথিতে বিজেপিতে দেখা দিয়েছিল ভাঙন। সৌমেন্দুর হাত ধরে তৃণমূলত্যাগী বিজেপি কাউন্সিলরদের মধ্যে থেকে দুই জন ছেড়েছেন দল। মোট পাঁচ নেতা বিজেপি ছেড়ে ফিরেছেন তৃণমূলে। দলত্যাগীদের মধ্যে রয়েছেন অতনু গিরি, সোনা বেরা। এই আবহে সৌমেন্দুকে টিকিট না দেওয়ার নেপথ্যে কোন কারণ, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।