কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বিজেপি গিয়েছিল দেশের সর্বোচ্চ আদালতে। শুক্রবার সেখানেই জোর ধাক্কা খেল তারা। কারণ আজ সুপ্রিম কোর্ট সরাসরি খারিজ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে রাজ্যে ১০৮টি পুরসভা নির্বাচনের দাবি। সুতরাং আগামী ২৭ ফেব্রু্য়ারি কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়াই পুরসভা নির্বাচন হচ্ছে। যা চেয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় বাহিনী নয়, ১০৮টি পুরসভা নির্বাচনের দায়িত্বে থাকবে রাজ্য পুলিশ। মোট মোতায়েন করা হবে ৪৪ হাজার পুলিশ। প্রতি বুথে থাকবে সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী। এখানেই আপত্তি বঙ্গ–বিজেপি নেতাদের। বিজেপির পক্ষ থেকেই এই আপত্তি তুলে মামলা সর্বোচ্চ আদালতে দায়ের করা হয়েছিল মামলা। যা আজ খারিজ হয়ে গেল।
সুপ্রিম কোর্ট সূত্রে খবর, এই পুরসভাগুলির নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে ভোট করানো উচিত বলে পিটিশন দাখিল করেছিলেন বিজেপির নেতা প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিজেপি নেত্রী মৌসুমী রায়। কিন্তু এই বিষয়টি আজ বিশেষ আমল দিতে চায়নি সুপ্রিম কোর্ট। ফলে কয়েকটি কথা শোনার পর মামলাটি খারিজ করে দেওয়া হয়।
এদিন বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি সূর্য কান্তের ডিভিশন বেঞ্চ খারিজ করে দেন বিজেপির মামলাটি। সুতরাং কলকাতা হাইকোর্টের রায়ই বহাল রইল। ঠিক কী বলেছিল কলকাতা হাইকোর্ট? এই বিষয়ে বুধবার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেন, যেসব পুরসভায় নির্বাচন রয়েছে সেসব এলাকার বাস্তব পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজির সঙ্গে বৈঠকে বসবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। বৈঠকে আধাসেনা মোতায়েন নিয়ে লিখিত সিদ্ধান্তে আসতে হবে। যদি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত না নেওয়া হয় সেক্ষেত্রে নির্বাচনের দিন যেসব জায়গায় হিংসার ঘটনা ঘটবে তার জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশনার ব্যক্তিগতভাবে দায়ী থাকবেন। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন না করলে তার কারণ কমিশনকে লিখিত আকারে আদালতকে জানাতে হবে।