পুরভোট মিটতেই ফের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তৃণমূলে। দলের দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বে উত্তপ্ত হয়ে উঠল রাজপুর-সোনারপুর পুরসভা এলাকা। পুরভোটে জয়ের উৎসব পালনের মধ্যেই বোমাবাজি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে। এই ঘটনার জেরে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। দু'পক্ষের সংঘর্ষে প্রায় তিন জন আহত হয়েছেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়।
২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর পাপিয়া হালদারের অনুগামীদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ উঠেছে। এই ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর পিন্টু দেবনাথের অনুগামীদের মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। পিন্টু দেবনাথের অনুগামী সুকান্ত সরকারের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার দুপুরে সকলেই জয়ের আনন্দে মেতে উঠেছিলেন। দলীয় কার্যালয়ে তাদের খাওয়া-দাওয়া চলছিল। সেই সময় ৫০ থেকে ৬০ জন দুষ্কৃতী আচমকায় চলে এসে তাদের ওপর হামলা চালায়। বোমাবাজি করার পাশাপাশি এলোপাতাড়ি ইঁট পাথর ছোড়া হয় তাদের লক্ষ্য করে। তাছাড়া লাঠি, রড দিয়েও তাদের মারধর করা হয়। তিনি জানিয়েছেন, ‘এবার আমরা পিন্টুদার হয়ে প্রচার করেছিলাম। সেই কারণে হয়তো আমাদের ওপর ক্ষোভ ছিল। তাই এই হামলা চালানো হয়েছে।’
ঘটনার পরেই খবর দেওয়া হয় নরেন্দ্রপুর থানায়। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী। কিন্তু ততক্ষণে দুষ্কৃতীরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পাপিয়া হালদারের অনুগামী পার্থসারথি দাস রায়। তার দাবি, ‘কে বা কারা হামলা করেছে আমরা জানি না। তবে বোমা বিস্ফোরণের শব্দ শুনে আমরা বাইরে বেরিয়ে আসি। দু তিনটে বোমা বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পেয়েছি। এখন কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা আমরা জানি না। তবে এই ঘটনা যে অভিযোগ আমাদের বিরুদ্ধে উঠেছে তা পুরোপুরি মিথ্যা। এটা একটা চক্রান্ত।’ যদি এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ।