তৃণমূল কংগ্রেসের পুরসভা নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা নিয়ে যখন গোটা রাজ্য তোলপাড় হচ্ছে তখন ব্যতিক্রমী চরিত্র রয়ে গেলেন মহেশতলার বিধায়ক দুলাল দাস। কারণ দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন, এই নির্বাচনে কোনও বিধায়ককে প্রার্থী করা হয়নি। কিন্তু মহেশতলার বিধায়ক এখনও প্রার্থী হিসাবেই রয়ে গিয়েছেন। পার্থবাবু বিধায়ক অরিন্দম গুঁইনকে প্রাথী পদ থেকে সরে দাঁড়াতে বলেছেন। তিনি সরেও গিয়েছেন। কিন্তু বিধায়ক দুলাল দাস প্রাথীই থাকছেন।
গত শুক্রবার বকেয়া পুরসভাগুলির প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, কোনও বিধায়ক প্রার্থী হবেন না। এক ব্যক্তি, এক পদ নীতি মেনে চলতে হবে। একই পরিবারের অনেকে প্রার্থী হতে পারবেন না। তবে মুখে এই কথা ঘোষণা করা হলেও বাস্তবে তা দেখা যায়নি। এখনও পর্যন্ত দলীয় সূত্রে খবর, ১০৭টি পুরসভার প্রার্থী তালিকায় একমাত্র ব্যতিক্রম হতে চলেছেন মহেশতলার বিধায়ক।
উল্লেখ্য, দুলাল দাস হলেন মেয়ে রত্না চট্টোপাধ্যায়ের বাবা। একুশের নির্বাচনে জিতে বিধায়ক হয়েছেন। তবে কলকাতা পুরসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রেও টিকিট পান রত্না। জিতে কাউন্সিলরও হন। এখন মেয়ের মতো বাবার ক্ষেত্রেও একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর তা নিয়েই এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
হুগলি জেলায় এক পরিবার থেকে জোড়া প্রার্থী হয়েছেন। উত্তরপাড়া–কোতরং পুরসভার বিদায়ী পুরপ্রধান দিলীপ যাদব এবং তাঁর স্ত্রী প্রার্থী হয়েছেন। রিষড়া পুরসভার বিদায়ী পুরপ্রধান বিজয়সাগর মিশ্র এবং তাঁর ভাই সুখসাগর মিশ্র টিকিট পেয়েছেন। চাঁপদানি পুরসভার বিদায়ী পুরপ্রধান সুরেশ মিশ্র ও তাঁর স্ত্রী শর্মিষ্ঠা মিশ্র টিকিট পেয়েছেন। তারকেশ্বর পুরসভার বিদায়ী পুরপ্রধান উত্তম কুণ্ডু ও তাঁর স্ত্রী কুহেলি কুণ্ডু দু’জনেই টিকিট পেয়েছেন।