এর আগে ত্রিপুরার পুরভোটের সময় তৃণমূল নেতা বাবুল সুপ্রিয়র সামনেই বেজেছিল তাঁর গাওয়া গান ‘এই তৃণমূল আর না।’ বিজেপি ত্যাগী নেতা তখন বেশ বিব্রতই বোধ করেছিলেন। আর এবার আসানসোলেও বাবুলের সেই তৃণমূল বিরোধঈ গানকেই হাতিয়ার করে ভোট প্রচারে নেমেছে গেরুয়া শিবির। প্রসঙ্গত, দীর্ঘ সাত বছর বিজেপিতি কাটিয়ে আসা বাবুল এই আসানসোলেরই প্রাক্তন সাংসদ। দল বদলের পর তিনি সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন।
গতকাল আসানসোলের কুলটিতে পুরভোটের প্রচারে এসেছিলেন শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরি। টোটোতে করেই প্রচার করেন চন্দনা। তিনি যেই টোটোতে করে মানুষের কাছে বিজেপির হয়ে ভোট চাইতে গিয়েছিলেন, সেই টোটোতেই বাজছিল বাবুলের গাওয়া গানটি। কুলটির পর চন্দনা রানিগঞ্জেও গিয়েছিলেন। সেখানেও তাঁর প্রচারের সময় বাজে বাবুলের এই গান।
উল্লেখ্য, ২০১৪ ও ২০১৯ সালে এই আসানসোল থেকেই বিজেপির টিকিটে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। ২০১৯ সালের নির্বাচনের সময় তৃণমূলকে বিঁধতে ‘এই তৃণমূল আর না’ গানটি লিখেছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। গানটি নিজেই গেয়েছিলেন তিনি। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ শানিয়ে বেশ কিছু শব্দ প্রয়োগ করেছিলেন বাবুল। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিজে বিজেপি ছাড়লেও তার তৃণমূল বিরোধী সেই গানটি এখনও বহাল তবিয়তে বিজেপির সঙ্গে রয়েছে। বাবুলের অবশ্য এই গান প্রসঙ্গে বক্তব্য ছিল, ‘শিল্পি হিসেবে গানটি গাওয়া তাঁর। আগামীতে তৃণমূলের হয়ে তিনি গান গাইবেন।’ তবে মুখে বাবুল বা তৃণমূল যাই বলুক, আসানসোল পুরভোটের প্রচারে বিজেপির কাছে বড় ‘হাতিয়ার’ হয়ে উঠেছে প্রাক্তন সাংসদের গাওয়া সেই বিখ্যাত গানটি।