রবিবারের পর আক্রমণ বজায় থাকল সোমবারও। আইপ্যাক–কে সরাসরি আক্রমণ করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার তিনি বলেছিলেন, প্রার্থীদের জেতাতে ময়দানে আইপ্যাক–কে দেখা যাচ্ছে না। আমাকেই খাটতে হচ্ছে। আর সোমবার আরও সুর চড়ালেন তিনি। এই বিষয়ে এবার তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও মুখ থুলেছেন।
ঠিক কী বলেছেন শ্রীরামপুরের সাংসদ? আজ, সোমবার তিনি বলেন, ‘আইপ্যাকের জন্যই এত নির্দল হয়েছে। দুটো কারণ রয়েছে এত নির্দল হয়ে দাঁড়ানোর। যখন বিভিন্ন মানুষকে প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য করা হয়েছিল, তখন আমাদের সঙ্গে কেউ কোনও আলোচনাই করলেন না। এতদিন ধরে সাংসদ রয়েছি, এতদিন ধরে কাজ করছি, কেউ কোনও কথাই বললেন না। আইপ্যাকের রিপোর্ট অনুযায়ী কলকাতার কোনও নেতার সুপারিশে সব হয়ে গেল! আজকে সেই সব সদস্যই নির্দল প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়ে গিয়েছেন। তখন দিদি, সুব্রত বক্সি এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায় যদি দেখতেন সদস্য কারা হচ্ছেন, তা হলে হয়তো আজ এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হতো না। এখানে আইপ্যাকের ছেলেটাকে খুঁজছি। পেলে একবার সুন্দর করে পালিশ করে দিতাম।’
এদিকে, আইপ্যাক–এর সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুললেন তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এই বিষয়ে পার্থবাবু সাংবাদিকদের বলেন, ‘যার যেখানে দরকার আছে, সে সেখানে দরকার মতো কাজ করছে। যার কাছ থেকে যখন পরামর্শ নেওয়ার নেওয়া হবে। তবে কাজটা দলই করবে। আর কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের অন্যতম নেতা। হুগলি জেলায় তিনি কাজ করছেন। ভালভাবেই তাঁকে কাজ করতে দেখা যাচ্ছে। সুতরাং অসুবিধা কোথায়?’
এখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তাহলে কী তৃণমূল কংগ্রেসে আইপ্যাকের ইতি? যদিও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক আইপ্যাক–কেই চাইছেন। আইপ্যাকের থেকে পরামর্শ নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস হাতে–কলমে কাজ করবে এটাই এখন গাইডলাইন বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও এই নিয়ে প্রশান্ত কিশোর কিংবা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এমনকী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ খোলেননি।