সম্প্রতি তাঁকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন কামারহাটির বিধায়ক। হিম্মত থাকলে বিটি রোড দিয়ে যেতে বলে চ্যালেঞ্জ ছুড়েচিলেন তিনি। মানুষ তখন বুঝে নেবে বলে হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন তিনি। হ্যাঁ, তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের কালারফুল নেতা মদন মিত্র। আর যাঁকে চ্যালেঞ্জ ছুড়েছিলেন সেই সৌগত রায়কে দেখা গেল এখানের ৪ নম্বর ওয়ার্ড তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কালামউদ্দিন আনসারী সমর্থনে বুধবার সন্ধ্যায় প্রচারে বেরিয়েছিলেন। হুড খোলা গাড়িতে বিধায়ক মদন মিত্রের ছেলে শুভজিৎ মিত্র এবং প্রার্থী কালামউদ্দিন আনসারিকে নিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে ভোট প্রার্থনা করলেন সাংসদ সৌগত রায়।
তাহলে কী বরফ গলল? এই নিয়ে কিছু বলতে চাননি সৌগত রায়। তবে মদন–পুত্রকে নিয়ে পুরসভা নির্বাচনের প্রচারে নামলেন সৌগত রায়। প্রার্থী তালিকা নিয়ে অসন্তোষের জেরে সৌগত রায়ের বিরুদ্ধে হুঙ্কার ছেড়েছিলেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। বটি কাবাব থেকে শুরু করে দলকে ভুল পথে চালিত করার অভিযোগ তুলেছিলেন মিত্র মদন। অথচ কামারহাটি দেখল অন্য ছবি।
মদন মিত্র–সৌগত রায়ের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্য চলে এসেছিল। মদন মিত্র নাম না করে বলেছিলেন ‘একজন নেতা, বারবার এখানে এক কথা বলেন, আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গিয়ে ভুল বোঝান। কর্মীদের সঙ্গে কুকুরের মতো ব্যবহার করেন। আর শুধু লুঙ্গি পরে বসে বসে কাজু খান, কাবাব খান।’ জবাবে সৌগত রায় বলেন, ‘যে নোংরা জঘন্য কথা বলছে, তার জবাব দিতে রুচিতে বাধে, কেউ গালাগাল দিয়ে, নোংরা কথা বলে আমাকে রাজনীতি থেকে সরাতে পারবে না’।
সেদিন সেভাবে জবাব না দিলেও কামারহাটিতে হুডখোলা গাড়িতে প্রচার করে জবাব দিলেন বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ আর কোনও মন্তব্য করেননি মদন মিত্র। উলটে এই প্রচারে তাঁর ছেলেকে সৌগত রায়ের পাশে দেখা গেল। মদন মিত্রকে অবশ্য শোকজ করা হয়েছে। শোকজ করার পর অবশ্য মদন মিত্র বলেছিলেন, ‘দল তাড়িয়ে দিলে বলব কাঁচা বাদাম।’