আইপ্যাকের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের কী সম্পর্কের অবনতি হয়েছে? কয়েকদিন ধরে রাজ্য–রাজনীতির অলিন্দে এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই এই বিষয়টি সামনে আসছে। দলের একাংশ বলছেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে নাকি কথা কাটাকাটি হয়েছে প্রশান্ত কিশোরের সংস্থার। এবার আইপ্যাক–কে দরাজ সার্টিফিকেট দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়। যদিও আর এক সাংসদ মহুয়া মৈত্র দাবি করেছেন, আইপ্যাকের সঙ্গে সম্পর্ক আছে তৃণমূল কংগ্রেসের। কোনও ছেদ পড়েনি।
ঠিক কী বলেছেন সৌগত রায়? আইপ্যাকের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় মন্তব্য করতে চাননি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও প্রশ্ন শুনতে চাননি। তিনি বলেছিলেন, এটা দলের বিষয় নয়। এবার নয়াদিল্লিতে বসে এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সৌগত রায় বলেন, ‘আইপ্যাকের সঙ্গে কী চুক্তি ছিল আমি জানি না। সেই চুক্তি ভেঙে গিয়েছে। ক্ষতি না হলেও অসুবিধা তো হবেই। একুশের নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই থেকে দলের জয়, তাদের উল্লেখযোগ্য অবদান ছিল। তা নিয়ে কোনও সমস্যা হয়নি। আইপ্যাকের কাজ দেখেছি। খুব শৃঙ্খলাবদ্ধ ব্যবস্থা। ম্যানেজমেন্ট, আইআইটির গ্র্যাজুয়েট ছেলেমেয়েরা কাজ করেছেন। অত্যন্ত যোগ্য সকলে। পাঁচ লক্ষ টাকা বেতন পাওয়ার যোগ্য। এঁরা রাজনীতিতে টাকা কামাতে আসেননি। সার্ভের মধ্যে দিয়ে মানুষের সঙ্গে মিশে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে এসেছিলেন।’
সম্প্রতি একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তেমন কোনও উত্তর দেননি। আর সেখানে সৌগত রায় দরাজ শংসাপত্র দিলেন। এমনকী চুক্তি ভেঙে গিয়েছে পর্যন্ত বললেন। এই একদিন আগেই সৌগত রায়কে নিশানা করেন মদন মিত্র। ফেসবুক লাইভে বলেন, ‘আইপ্যাকের বদলে সৌগত রায়কে দায়িত্ব দিক। উত্তর ২৪ পরগনার দায়িত্ব দিক ওঁকে। কোনটা দেখবেন?’
তবে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক ব্যক্তি এক পদ নীতিকে তিনি সমর্থন করেছেন। এমনকী রাজনীতিবিদদের বয়সসীমা নিয়ে যা বলেছেন অভিষেক তাতেও সমর্থন করেছেন সৌগত রায়। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি অভিষেক ঠিকই বলেছে। একটা নির্দিষ্ট বয়সসীমা থাকলে ভাল।’