ঘড়িতে সকাল ৮টা বাজতেই কোচবিহারের দিনহাটা বাদে রাজ্যের ১০৭টি পুরসভায় ভোট গণনা শুরু হয়ে গেল। আর শুরু থেকেই জয়ের ঝোড়ো ব্যাটিং দেখা যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের। আর তাতেই চালকের আসনে বসেছে রাজ্যের শাসকদল। সকাল থেকেই খুশির হাওয়া ঘাসফুল শিবিরে। অশান্তি, সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠলেও বুধবার সকাল থেকেই হাসি চওড়া হচ্ছে।
কোথায় কেমন পরিস্থিতি দেখা দিল? এদিন সকালেই দেখা গেল, মাথাভাঙা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডে ৮৯৬ ভোটে জয়ী তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী বিশ্বজিৎ রায় এবং মাথাভাঙার ১ নম্বর ওয়ার্ডে ১৬০০–র বেশি ভোটে জয়ী। জয়ী তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী বিশ্বজিৎ সাহা। রঘুনাথপুর পুরসভার ৩,৪,৫,৬ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেস জয়ী। তবে ঝালদা পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে কংগ্রেস জয়ী। কান্দি পুরসভার ১ থেকে ৫ নম্বর ওয়ার্ড সকালেই পেয়ে গেল তৃণমূল কংগ্রেস।
এখানে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, কৃষ্ণনগর এক নম্বর এবং দুই নম্বর ওয়ার্ড নির্দল প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। তিন নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মিলন ঘোষ জয়ী হয়েছেন। বিজেপিও মাথাভাঙায় একটি ওয়ার্ড জিতেছে বলে খবর মিলেছে। গঙ্গারামপুর পুরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী প্রশান্ত মিত্র। ইনি মন্ত্রী বিপ্লব মিত্রের ভাই। দল বদলে বিজেপিতে গিয়েছিলেন। পরে তৃণমূল কংগ্রেসে ফেরেন।
ইতিমধ্যেই কোচবিহার পুরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, ‘১০৮টি পুরসভাতেই আমরা বোর্ড গঠন করব। জয়ের ব্যাপারে আমি একশো শতাংশ আশাবাদী।’ রাজ্যে ২০ জেলার ১০৮টি পুরসভার ফলাফল ঘোষণা হচ্ছে। ৪টি পুরসভা অবশ্য ইতিমধ্যেই দখল করে ফেলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেগুলি হল— কোচবিহারের দিনহাটা (১৬টি ওয়ার্ডের ১৬টিতেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী তৃণমূল কংগ্রেস), দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজ (২০টি ওয়ার্ডের ১৮টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী), বীরভূমের সিউড়ি (২১টি ওয়ার্ডের ১৬টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী) এবং সাঁইথিয়া (১৬টি ওয়ার্ডের ১৪টিতেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী তৃণমূল কংগ্রেস)।