বাংলা নিউজ > ভোটযুদ্ধ > পুরভোটের লড়াই > বিধাননগর বুথের ভিতরে তুমুল হাতাহাতি দুই প্রার্থীর, রিপোর্ট তলব করল কমিশন

বিধাননগর বুথের ভিতরে তুমুল হাতাহাতি দুই প্রার্থীর, রিপোর্ট তলব করল কমিশন

বিধাননগরের ৩৭ নম্বর ওয়ার্ড

বিধাননগরের ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি প্রার্থীর মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়।

সকাল থেকে বিধাননগর পুরসভার ভোটপর্ব নিয়ে বিরোধীরা নানা অভিযোগ তুলছিলেন। ভুয়ো ভোটার থেকে মারধর—সবকিছুরই অভিযোগ তোলা হয়েছিল। এবার বেনজির ঘটনা সামনে চলে এলো। আজ বিধাননগরের ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডে তুমুল উত্তেজনা দেখা দিল বুথের ভিতর দুই প্রার্থীর মধ্যে হাতাহাতির ঘটনায়। বিধাননগরের ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি প্রার্থীর মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মিনু দাস চক্রবর্তী ছাপ্পা ভোট করাচ্ছিলেন। তখন বিজেপি প্রার্থী প্রমিতা সাহা বুথে এলে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতি হয় বলে অভিযোগ।

বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ, এই ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডে ছাপ্পা ভোট চলছিল। খবর পেয়ে সেখানে যান বিজেপি প্রার্থী প্রমিতা সাহা। তিনি প্রিসাইডিং অফিসারের সঙ্গে কথা বলার সময়ই পৌঁছন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মিনু দাস। প্রমিতার অভিযোগ, বুথে বিজেপির কোনও পোলিং এজেন্টকে বসতে দেওয়া হয়নি। এমনকী তৃণমূল কংগ্রেস বহিরাগতদের এনে থাপ্পা ভোট করাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তখনই শুরু হয় বচসা। আর তা থেকেই হাতাহাতি হয় বুথের মধ্যে।

এই বিষয়ে বিজেপি প্রার্থী প্রমিতা সাহা বলেন, ‘‌এখানে ছাপ্পা ভোট চালাচ্ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সেটা ধরতেই আমাকে মারধর করা হয়। পোলিং এজেন্টকে বসতে দেওয়া হয়নি। বাইরে থেকে লোক এনে ভোট করানো হচ্ছে। সব কিছুর মূলে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।’‌ এই অভিযোগের পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে মিনু দাস অভিযোগ করেন, ‘‌কোনও বহিরাগতদের নিয়ে আসা হয়নি। উল্টে বিজেপি প্রার্থীই এসে মারধর হামলা করে। যার জেরে বুথে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।’‌

এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই দুই প্রার্থীর মধ্যে হাতাহাতি নিয়ে রিপোর্ট তলব করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। আদৌ সেখানে ছাপ্পা হযেছিল কি না? কীভাবে ভোট হচ্ছিল? সব তথ্য চেয়ে পাঠানো হয়েছে।এমনকী বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করেছে নির্বাচন কমিশন। তবে এই ঘটনার পর সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে বাড়তি পুলিশ।

বন্ধ করুন