বাংলা নিউজ > ভোটযুদ্ধ > পুরভোটের লড়াই > বাড়ি বাড়ি গিয়ে নয়,ফোনের মাধ্যমেই প্রচার সারছেন চন্দননগরের তৃণমূল প্রার্থী

বাড়ি বাড়ি গিয়ে নয়,ফোনের মাধ্যমেই প্রচার সারছেন চন্দননগরের তৃণমূল প্রার্থী

বাড়ি বাড়ি গিয়ে নয়,ফোনের মাধ্যমেই প্রচার সাড়ছেন চন্দননগরের তৃণমূল প্রার্থী। প্রতীকী ছবি।

এভাবে প্রচারে সাড়াও মিলছে বলেই তিনি জানিয়েছেন।

এগিয়ে আসছে ৪ পুরনিগমের ভোট। কোভিডের বাড়বাড়ন্তের কারণে প্রচারের ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। প্রচারে বেরিয়ে যাতে সংক্রমণ না ছড়ায়,তার জন্য নির্বাচন কমিশন ডিজিটাল প্রচারের উপরে জোর দিতে বলেছে। কিন্তু, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আরোপ করা সেই বিধি-নিষেধ প্রার্থীরা মানছেন কই!

 সমস্ত পুরনিগমেই একাধিক প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিধি ভঙ্গের অভিযোগ উঠছে। এরইমধ্যে নির্বাচন কমিশনের কথা মেনে বাড়িতে বাড়িতে না গিয়ে ফোনের মাধ্যমে জনসংযোগ বাড়াতে উদ্যোগী হলেন চন্দননগরের তৃণমূল প্রার্থী মোহিত নন্দী।

কোভিডের প্রকোপের কারণে ফোনের মাধ্যমেই ভোটারদের সঙ্গে জনসংযোগ রাখছেন তিনি। আর এর ফলে তিনি প্রশংসাও কুড়োচ্ছেন। ২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী তৃণমূলের দলীয় অফিস থেকেই ফোন করে মানুষের খোঁজ খবর নিচ্ছেন। তাঁর সমস্ত কাজ পরিচালনা করছেন ওয়ার্ডের দলীয় অফিসের কর্মীরা। আর এভাবে প্রচারে সাড়াও মিলছে বলেই তিনি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ' কোভিডের কারণে বাড়ি বাড়ি প্রচারে গেলে দু পক্ষেরই সংক্রমনের আশঙ্কা থাকে। তবে এই ভাবে প্রচার করেও ভালো সাড়া পাচ্ছি । মানুষজন আমাকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন।'

যদিও এনিয়ে অবশ্য কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। জেলার বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি সুরেশ সাউ মনে করেন, 'প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরেই ডিজিটাল প্রচার শুরু হয়েছে। এখন তৃণমূল নেতারাও সেই পথে হাঁটছেন।' তবে তৃণমূল কর্মীরা বলছেন, 'আসলে বিজেপি এটাকে গুলিয়ে ফেলছে।'

তবে তৃণমূলের দাবি, মোহিত বাবুর বয়স কম হলেও এলাকায় তিনি যথেষ্ট পরিচিত মুখ। যার ফলে প্রচারে ভালই সাড়া মিলছে। তাঁর পথে হেটে অনেক বিরোধী প্রার্থীও এভাবেই চন্দননগর এলাকায় প্রচার চালাচ্ছেন। এভাবে প্রচার চালালে করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা অনেক কম থাকবে বলেই মনে করছেন চিকিৎসকরা।

বন্ধ করুন