আগামী ২৭ জানুয়ারি ১০৮ পুরসভার ভোট রয়েছে। পুরসভাগুলিকে নিজেদের দখলে নিতে চাইছে সমস্ত রাজনৈতিক দল। সেই লক্ষ্যে প্রচারে নেমে পড়েছেন সমস্ত রাজনৈতিক দল। প্রচারে নেমে বিভিন্ন ধরনের পন্থা অবলম্বন করছে দলগুলি। এবার পুরভোটের প্রচারে শিক্ষক সংগঠনকে কাজে লাগাতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। শিক্ষকদের কাজ হল ছাত্র ছাত্রীদের শিক্ষাদান করা। এমনিতেই দীর্ঘদিন ধরে স্কুল বন্ধ ছিল। ফলে শিক্ষকরা পুরভোটের প্রচারে সামিল হলে পড়াশোনায় কোনও সমস্যা হবে না তো? এখন এটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। আর তৃণমূলের এই নির্দেশের পর এই সমালোচনায় সরব হয়েছেন বিরোধীরা।
আলিপুরদুয়ার জেলায় প্রচারের জন্য শিক্ষকদের নির্দেশ দিয়েছেন শাসকদলের শিক্ষক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি। এ প্রসঙ্গে সমালোচনা করে বিজেপির জেলা সভাপতি ভূষণ মোদক বলেন, ‘তৃণমূল চাপ সৃষ্টি করে শিক্ষকদের দিয়ে এই কাজ করাচ্ছে। কিন্তু, এর ফলে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনায় ক্ষতি হতে পারে। তাছাড়া তৃণমূল যতই এভাবে প্রচার করুক না কেন তা কাজে দেবে না। কারণ যারা শিক্ষক তারা হয়তো চাপে পড়ে ভোট দিতে পারে। কিন্তু, তাদের পরিবার কখনই তৃণমূলকে ভোট দেবে না।’
গত শনিবার শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক করে নির্বাচনী প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন ওয়েস্টবেঙ্গল তৃণমূল সেকেন্ডারি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি দিব্যেন্দু মুখোপাধ্যায়। সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি প্রকাশ চিক বড়াইক।অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি দিব্যেন্দু মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘পড়াশোনায় কোনওরকম ক্ষতি না করে শিক্ষকদের প্রচারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’ শিক্ষকদের দিয়ে প্রচার করার মূল কারণ হিসেবে তিনি জানিয়েছেন, ‘দলের প্রত্যেকটির কমিটিতে শিক্ষকদের নেওয়া হয়েছে সেই কারণে তাদের দায়িত্ব কর্তব্য বেড়ে গিয়েছে।’