প্রার্থী তালিকা নিয়ে তৃণমূলে বিক্ষোভ, বিদ্রোহ অব্যাহত রয়েছে। এখনও বহু জায়গায় তৃণমূল প্রার্থীদের আন্দোলন চলছে। এরইমধ্যে প্রার্থী তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও তা বদল করার অভিযোগে অনশনে বসলেন তৃণমূল নেত্রী। তৃণমূলের দ্বিতীয় তালিকায় নাম ছিল। সেইমত মনোনয়নপত্রও জমা দিয়েছেন তিনি। তার পরেও দল থেকে কোনও প্রতীক মেলেনি। এই অভিযোগে অনশনে বসলেন জলপাইগুড়ির মালবাজারের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী রঞ্জনা দাস। তাঁর অভিযোগ, 'কোনও কিছু না জানিয়েই প্রার্থী বদল করা হয়েছে। তার পরিবর্তে বিজেপি থেকে আসা নেত্রী সরিতা গিরিকে তৃণমূলের টিকিট দেওয়া হয়েছে।'
এই অভিযোগে মালবাজারের শহীদচকে অনশনে বসেন তৃণমূল নেত্রী রঞ্জনা দাস। তাঁর অভিযোগ, দলের পক্ষ থেকে দ্বিতীয় তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল তাতে তার নাম ছিল। দ্বিতীয় প্রার্থী তালিকায় দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং সুব্রত বক্সীর সইও ছিল। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর তিনি জানতে পারেন তাঁর বদলে সরিতা গিরিকে দলের প্রার্থী করা হয়েছে। তাতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তৃণমূল নেত্রী। এরপরই তিনি অনশনে বসেন। সরিতা গিরিকে টাকার বিনিময়ে প্রার্থী করার অভিযোগ তুলেছেন রঞ্জনা দাস। এরজন্য তিনি জেলা সভানেত্রী মহুয়া গোপকে দায়ী করেছেন।
তিনি অভিযোগ করেছেন, সরিতা গিরিকে প্রার্থী করার বিষয়টি জানার পরেই তিনি তাঁর সমর্থকদের সঙ্গে মহুয়া গোপের বাড়ি গেলেও তিনি দেখা করেননি। এদিকে, তাঁর জমা দেওয়া মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেওয়া হয় বলে তিনি জানান। অন্যদিকে, অনশনে বসার পরেই দলের পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারি দেওয়া অঞ্জনা দাসকে অনশন প্রত্যাহার না করা হলে দলের পক্ষ থেকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে রঞ্জনা দাসকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব।