বিধানসভা ভোটে ভরাডুবির পরে এমনিতে মনমরা বিজেপি কর্মীরা। এর সঙ্গেই পুরভোটের আগে শুরু হয়েছে দলের অন্দরে ভয়াবহ ভাঙন। মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক দক্ষিণ জেলা বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বও যোগ দিলেন তৃণমূলে। জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক তপন চন্দ্র তৃণমূলে যোগ দিলেন। তাঁর সঙ্গেই ডোমকল টাউন বিজেপি সভাপতি অভীক দাসও ঘাসফুলের পতাকা হাতে তুলে নিয়েছেন। সোমবার জেলা তৃণমূল কার্যালয়ে দুজনেই তৃণমূলে যোগ দেন। এদিকে এভাবে পুরভোটের আগে দলের অন্দরে হুড়মুড়িয়ে ধস নামার ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই বিজেপির অন্দরে অস্বস্তি চরমে।
এদিকে গত বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল পর্যালোচনা করলে দেখা যাচ্ছে বহরমপুর পুরসভার ২৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে তৃণমূল মাত্র একটি ওয়ার্ডে এগিয়ে ছিল। বহু ওয়ার্ডে তৃণমূলকে টেক্কা দিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু এবার সেই বিজেপিতেই বড় ধস। তপন চন্দ্রের দাবি, বিজেপিতে সম্মান না পেয়েই তিনি তৃণমূলে এসেছেন।
এদিকে অতীতেও বিজেপির নীচুতলার নেতা কর্মীরা তৃণমূলে চলে এসেছিলেন। কিন্তু এবার একেবারে জেলা শীর্ষ নেতাই চলে এলেন তৃণমূলে। এদিন দলের জেলা সভানেত্রী শাওনী সিংহ রায়ের কাছ থেকে তাঁরা তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নেন। স্বাভাবিকভাবে এর জেরে উল্লসিত জোড়াফুল শিবির। কিন্তু পুরভোটের মুখে এভাবে আচমকা বিজেপি শক্তিক্ষয় আরও চাপে ফেলে দিল গেরুয়া শিবিরকে। এদিকে গত বিধানসভা ভোটের আগেও তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়াতেন এই নেতারাই। তাঁরাই এবার পুরভোটের আগে তৃণমূলে ভিড়ে গিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়াতে শুরু করেছেন। এর জেরে কিছুটা হলেও বিভ্রান্ত সাধারণ মানুষ।