বাংলা নিউজ > ভোটযুদ্ধ > পুরভোটের লড়াই > ‘‌ছেলেরা তো ময়দানে লড়ছে’‌, পুরসভা নির্বাচনে আগ্রহ হারিয়ে যুদ্ধের খবরে শিশির

‘‌ছেলেরা তো ময়দানে লড়ছে’‌, পুরসভা নির্বাচনে আগ্রহ হারিয়ে যুদ্ধের খবরে শিশির

শিশির অধিকারী। (ফাইল ছবি, সৌজন্য ফেসবুক)

একুশের নির্বাচনের আগে মোদী–শাহের সভায় গিয়ে বক্তব্য পর্যন্ত রেখেছিলেন। তাঁর ছেলেরাও বিজেপিতে গিয়েছেন। কিন্তু বৃদ্ধ বয়সে যে স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে যাবে তা ভাবতে পারেননি তিনি।

একের পর এক নির্বাচনে হারতে হারতে বিজেপি এখন হেরো পার্টিতে পরিণত হয়েছে। তার মধ্যেই শুরু হয়েছে দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল। এই পরিস্থিতি দেখে তিনি উৎসাহ–আগ্রহ হারিয়েছেন। আগে অবশ্য তিনি প্রতিটি নির্বাচনেই ব্যস্ত থাকতেন। তখন অবশ্য তৃণমূল কংগ্রেসে ছিলেন। এখন বিজেপিতে। একুশের নির্বাচনের আগে মোদী–শাহের সভায় গিয়ে বক্তব্য পর্যন্ত রেখেছিলেন। তাঁর ছেলেরাও বিজেপিতে গিয়েছেন। কিন্তু বৃদ্ধ বয়সে যে স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে যাবে তা ভাবতে পারেননি তিনি। হ্যাঁ, তিনি বর্ষীয়ান নেতা শিশির অধিকারী। রাত পোহালেই ১০৮টি পুরসভার নির্বাচন। সেখানে তিনি এখন নিস্তেজ।

অথচ তিনিই একটা বড় সময় ধরে কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন। এবার অবশ্য পরিবারের কেউই টিকিট পাননি। তাই ‘শান্তিকুঞ্জ’–এর অভিভাবক কী করছেন?‌ জানতে আগ্রহী মানুষজন। আর পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ চুপচাপই রয়েছেন। শুভেন্দু অধিকারী প্রচার করলেও মানুষজন তেমন সাড়া দিচ্ছেন না। দিব্যেন্দু অধিকারী নিজের সাংসদ অফিসে বৈঠক করছেন। আর শিশির অধিকারী বাড়িতে বসে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের যুদ্ধের খবর দেখে সময় কাটাচ্ছেন।

এই সময়ের বৈপরীত্য নিয়ে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে কাঁথি থেকে এগরা—সর্বত্র। কিন্তু এখন তিনি বাড়িতে বসে কেন?‌ বর্ষীয়ান সাংসদ বলেন, ‘শরীরটা আগের থেকে অনেকটা ভাল। তবে পুরোপুরি সুস্থ নয়। চিকিৎসকের পরামর্শে এখনও বাড়ি থেকে সেরকম বেরোতে পারি না। ছেলেরা তো ময়দানে লড়ছে। আমি বাড়িতে বসে দেখছি।’

এখন যা পরিস্থিতি তাতে রাজ্য–রাজনীতিতে তেমন সুবিধা করে উঠতে পারছেন না রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। হুঙ্কার, হুঁশিয়ারি, মেজাজ হারানো সবই দেখেছে বঙ্গবাসী। একের পর এক নির্বাচনে ফলাও করে প্রচার করলেও তাতে জনগণ প্রভাবিত হয়নি। তাই পরিস্থিতি এখন প্রতিকূলে। আর শিশির অধিকারীর এই স্বেচ্ছা গৃহবন্দি কাঁথি পুরসভা নির্বাচনে আরও প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে।

বন্ধ করুন