পুরসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে শোনা গিয়েছিল বিজেপির প্রার্থী হয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে ভোট চাইছেন বর্ষীয়ান নেতা শিশির অধিকারী। যদিও ওই অডিও ক্লিপ যাচাই করে দেখেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা ডিজিটাল। কিন্তু রবিবার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাঁথি কলেজ ভোটকেন্দ্রে ভোট দিলেন শিশির অধিকারী। আর বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একাধিক ক্ষোভ উগরে দেন শিশিরবাবু। কলেজের সামনে সৌমেন্দু অধিকারীর গাড়ি পুলিশ আটকায় সে বিষয়েও কটাক্ষ করেন শিশির অধিকারী।
ঠিক কী বলেছেন শান্তিকুঞ্জের অভিভাবক? এদিন ভোট দিয়ে বেরিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন শিশির অধিকারী। আর তা নিয়ে এখন রাজ্য–রাজনীতিতে ঝড় বইতে শুরু করেছে। তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে কাঁথিতে বুথ দখলের অভিযোগ তুলে শিশিরবাবু বলেন, ‘নন্দীগ্রামে পরাজয়ের জ্বালা মেটাতেই এখানে এমন হচ্ছে।’
এটুকু বলেই তিনি থেমে থাকেননি। তৃণমূল কংগ্রেস এবং পুলিশ প্রশাসনকেও তুলোধনা করেছেন এই বর্ষীয়ান সাংসদ। এখনও খাতায়–কলমে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ। এই পুরসভা নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি দেখেছি ১১টা বুথ দখল হয়েছে। নন্দীগ্রামে মমতার পরাজয়ের জন্যই এখানে এমনটা করা হচ্ছে। সবটাই হচ্ছে কালীঘাটের নির্দেশে। উনি নন্দীগ্রামে হেরেছেন, সেই জ্বালা মেটাতে কাঁথি কলেজ, কাঁথি পুরসভা এবং কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কে থাকা আমার ছেলেদের গত ৯ মাস ধরে মিথ্যে মামলা দিয়ে জেলে ঢোকাচ্ছেন। এখন কাঁথি পুরসভায় অধিকারীদের হারাতে হবে। এটাই কালীঘাটের নির্দেশ।’
তবে শিশির অধিকারীর মন্তব্যের পাল্টা দিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরিও। তিনি বলেন, ‘ওরা নন্দীগ্রামে ছাপ্পা করে জিতেছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভবানীপুরে দাঁড়িয়ে জিতে গিয়েছেন৷ তাই নন্দীগ্রাম নিয়ে জ্বালা মেটানোর কোনও ব্যাপার নেই। অধিকারীরা বুঝে গিয়েছেন কাঁথিতে পায়ের তলার মাটি হারিয়ে গিয়েছে। তাই ছাপ্পার এখন মানুষের নজর ঘোরাতে চাইছেন। চোরের মন পুঁটলির দিকে। যারা এতদিন কাঁথিতে নির্বিঘ্নে ভোট করতে দেননি তাঁরাই সব জায়গায় ছাপ্পার গন্ধ পাচ্ছেন।’