আগামী ২২ জানুয়ারির বদলে ৪ পুরনিগমের ভোট হবে ১২ ফেব্রুয়ারি। তবে করোনা আবহে এভাবে ভোট পিছোনো নিয়ে এবার প্রশ্ন তুলতে শুরু করলেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। তাঁর মতে, করোনার জন্য ভোট অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে দেওয়া প্রয়োজন ছিল। এভাবে ভোট করানো হলে করোনা সংক্রমণ আরও বাড়বে।
বিধাননগরে পুরভোটের প্রচারে গিয়েছিলেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। এ এইচ ব্লকে হুড খোলা জিপে দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচার সারেন তিনি। পুরভোটের প্রচারে নেমে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই অসন্তোষ প্রকাশ করেন রাহুল সিনহা। এই প্রসঙ্গে রাহুল জানান, ‘ভোট নিয়ে ছেলেখেলা হচ্ছে। এভাবে ভোট পিছোনোর অর্থ কী? তাড়াতাড়ি ভোট হয়ে যেত। ভোট পিছিয়ে দিয়ে তো আরও সর্বনাশ হল। ভোট পিছিয়ে দেওয়ার ফলে তো ৯ তারিখ পর্যন্ত প্রচার চলবে। তাতে তো আরও নির্বাচনী প্রচার হবে। দুরত্ব বিধি শিকেয় উঠবে। এতে তো করোনা পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। বিন্দুমাত্র কোনও লাভ হবে না।’ এরই সঙ্গে বিজেপি নেতা জানান, ‘আমি আগেই বলেছিলাম করোনা পরিস্থিতি স্থিতিশীল না হলে ভোট করানোর কোনও যৌক্তিকতা নেই। অনির্দিষ্টকালের জন্য ভোট পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানাচ্ছি।’
এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা ভোটকে আরও কিছুটা পিছোনোর দাবি তুলে জানান, ‘আরও ৬ সপ্তাহ ভোট পিছোনোর দরকার ছিল। এতদিন তো নির্বাচন হয়নি। ভোট না হলে কী মানুষের বাড়িতে হাঁড়ি চড়বে না? তাহলে কী সব রসাতলে যাবে?’ উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও ভোট আরও ৪ সপ্তাহ পিছোনোর দাবি তুলেছিলেন।