বাংলা নিউজ > ভোটযুদ্ধ > পুরভোটের লড়াই > রেস্তরাঁর কর্তা থেকে কিং মেকার, কে এই অজয়? জিতেছে দল,হেরেছেন নিজে, পাহাড়ের নায়ক

রেস্তরাঁর কর্তা থেকে কিং মেকার, কে এই অজয়? জিতেছে দল,হেরেছেন নিজে, পাহাড়ের নায়ক

অজয় এডওয়ার্ড., হামরো পার্টির কর্ণধার। (ফেসবুক)

ধূমকেতুর মতো উঠে আসা হামরো পার্টি জয় পেয়েছে পাহাড়ে। কিন্তু পরাজিত হয়েছেন সেই পার্টির নায়ক অজয় এডওয়ার্ড। নায়কই হয়তো পারে এভাবে খোলা মনে নিজের হার স্বীকার করতে। সেই সঙ্গেই জানিয়েছেন আর একদিনও বনধ হবে না শান্তির পাহাড়ে। তবে কি নিশানায় বিমল গুরুং?

দার্জিলিং বেড়াতে গিয়ে একবার ম্যালে যাননি এমন পর্যটক পাওয়া দুষ্কর। আর ম্যালে গিয়ে একবার গ্লেনারিজ রেস্তরাঁটাও ঘাড় ঘুরিয়ে দেখে নেন অনেকেই। আর সেই রেস্তরাঁ চালায় যে এডওয়ার্ড পরিবার তারই কর্তা অজয় এডওয়ার্ড তৈরি করেছিলেন হামরো পার্টি। মাস পাঁচেক আগের ঘটনা। পাহাড়ের স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানের লক্ষ্যে দিল্লি গিয়েছিলেন অজয় এডওয়ার্ড। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখাও করেছিলেন। কিন্তু এই সফরকে ঘিরে জিএনএলএফ নেতা মন ঘিষিংয়ের সঙ্গে তাঁর মন কষাকষি শুরু হয়।

 তবে আদ্যোপান্ত ব্যবসায়ী হলেও দীর্ঘদিন ধরেই পাহাড়ের রাজনীতির পরিচিত মুখ এডওয়ার্ড। ইমেজটাও বরাবরের ভালো। পুরভোটের মুখে পাহাড় রাজনীতির বাঁকটাও হয়তো ভালোই দেখতে পেয়েছিলেন এডওয়ার্ড। মাস তিনেক আগে খুলে ফেলেন হামরো পার্টি। এরপর শুরু হল প্রচার। এতদিন যাঁরা মোর্চা বা জিএনএলেএফে থেকে মুখ খুলতে পারছিলেন না তাঁদের মধ্য়ে কেউ প্রকাশ্যে কেউ আবার তলায় তলায় হামরো পার্টিকে সমর্থন করা শুরু করলেন।

ব্যবসাটা ভালোই বোঝেন রেস্তরাঁ কর্তা এডওয়ার্ড। সঙ্গে রাজনীতিটাও। তবে রাজনীতির মারপ্যাঁচের মধ্যে না গিয়ে পাহাড়ের সহজ সরল মানুষদের কাছে আগামী দিনে সকলকে নিয়ে পথ চলার কথা জানানো শুরু করেন এডওয়ার্ড। কিন্তু তাঁর দল যে এভাবে জয় ছিনিয়ে নেবে তা বুঝতে পারেননি পাহাড়ের পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদরাও। কিন্তু এডওয়ার্ডের কথায় বিশ্বাস রাখেন পাহাড়ের মানুষ। 

ভোটে জিতে এডওয়ার্ড লিখেছেন, এবার দীর্ঘদিন পরে ভয়মুক্ত পাহাড়। দার্জিলিংয়ের ইতিহাসে এই প্রথম সম্মিলিত জয়। চেয়ার আমার লক্ষ্য ছিল না। সেকারণে ২২ নম্বর ওয়ার্ডে আমার পরাজয় মেনে নিয়েছি। ঠিকই ধরেছেন, ধূমকেতুর মতো উঠে আসা হামরো পার্টি জয় পেয়েছে পাহাড়ে। কিন্তু পরাজিত হয়েছেন সেই পার্টির নায়ক অজয় এডওয়ার্ড। নায়কই হয়তো পারে এভাবে খোলা মনে নিজের হার স্বীকার করতে। সেই সঙ্গেই জানিয়েছেন আর একদিনও বনধ হবে না শান্তির পাহাড়ে। তবে কি নিশানায় বিমল গুরুং? 

 

বন্ধ করুন