গত লোকসভা ভোটে উত্তরবঙ্গে ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গিয়েছিল তৃণমূল। বিধানসভা ভোটে গোটা বাংলায় যখন সবুজ সুনামি তখনও জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারে নজরকাড়া রেজাল্ট করেছিল গেরুয়া শিবির। আর বুধবার পুরভোটের ফলাফল বের হওয়ার পরে দেখা যাচ্ছে উত্তরবঙ্গের জেলায় জেলায় শুধুই ঘাসফুল। জেলা ভিত্তিক ফলাফল অনুসারে দেখা যাচ্ছে দার্জিলিং পুরসভা গিয়েছে নবগঠিত দল হামরো পার্টির দখলে। কোচবিহার পুরসভায় একটি আসনও পায়নি বিজেপি। জেলায় ৬টি পুরসভার মধ্যে ৫টি বিরোধীশূন্য। মালদার ২ পুরসভাতেই জয় তৃণমূলের।
দক্ষিণ দিনাজপুরের ২ পুরসভাতেই জয় তৃণমূলের। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের জেলাতেও জয়ী তৃণমূল। উত্তর দিনাজপুরে তিন পুরসভাই তৃণমূলের দখলে। বিধানসভা ভোটেও বিজেপির শক্ত ঘাঁটি আলিপুরদুয়ার পুরসভার ২০টি আসনের মধ্যে ১৬টিতে জয়ী তৃণমূল। একটিতে জয় কংগ্রেসের, ৩টিতে জয়ী নির্দলরা। ফালাকাটায় ১৮টি আসনের মধ্য়ে সবেতেই তৃণমূলের জয়। জলপাইগুড়ি, ময়নাগুড়ি, মাল পুরসভা সর্বত্র তৃণমূলের জয়জয়কার।
এখানেই প্রশ্ন কী এমন হল যে এভাবে উত্তরবঙ্গেও কুপোকাত হল বিজেপি? উত্তরবঙ্গে বিজেপির এতজন সাংসদ, বিধায়ক, দুজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থাকা সত্ত্বেও কেন এই ফলাফল? রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, রাজবংশী ভোট ব্যাঙ্কের তত্ত্ব পুরভোটে বিশেষ খাটে না। সেক্ষেত্রে তার নিরিখে এবার বিশেষ সুবিধা করতে পারেনি বিজেপি। সবথেকে বড় কথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিংবা বিজেপি সাংসদ, একেবারে তৃণমূলস্তরে তাঁদের রোজকার যোগাযোগ একেবারে তলানিতে। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সাংগঠনিক দুর্বলতা। পাশাপাশি উত্তরের একাধিক পুর এলাকায় মোটের উপর উন্নয়নর ছবি দেখা যায়। তার জেরেও অনেকটা এগিয়ে থেকেছে তৃণমূল।