মাত্র ১ ভোটে তৃণমূল প্রার্থীর কাছে হেরে গেলেন বিজেপির আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতি ভূষণ মোদক। উত্তরবঙ্গে গেরুয়া শিবিরের শক্ত ঘাঁটিতে তাঁর এই একটি মাত্র ভোটে হার হতাশ করেছে বিজেপিকে। আবার উল্টো দিকে জয় এক ভোটে হলেও উৎসবের আমেজ ছড়িয়েছে শাসক শিবিরে।
ভূষণ মোদক দাঁড়িয়ে ছিলেন ফালাকাটার ময়রাডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতে। তাঁকে ১ ভোটে হারিয়ে দেন তৃণমূল প্রার্থী বিমল মোদক। বিজেপি সূত্রে খবর, পঞ্চায়েত সমিতি দাঁড়ানোর কথা দলকে জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু আসন সংরক্ষণের কারণে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেননি তিনি। শেষ পর্যন্ত তিনি গ্রাম পঞ্চায়েত আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। কিন্তু ফলপ্রকাশের পর দেখা গেল হেরে গিয়েছেন ভূষণ মোদক।
কেন হারলেন তার কারণও জানিয়েছেন বিজেপির জেলা সভাপতি। তিনি এতে হতাশার কোনও কারণ দেখছেন না। জেলা সভাপতির কথায়,'আমার উপর গোটা জেলার দায়িত্ব ছিল। তাই নিয়ে এলাকায় একদম সময় দিতে পারিনি। তাই হার। কর্মীরাও আমার কাছে সময় চেয়েছিলেন। কিন্তু সময় দিতে পারিনি। আমি অজুহাত দেওয়ার লোক নই।'
(পড়তে পারেন। নন্দীগ্রামে ফুটল পদ্ম, দলের ফলের জন্য বিক্ষুব্ধ আর বাম-কংগ্রেসকে দুষলেন কুণাল)
অন্য দিকে তৃণমূল প্রার্থী বিমল মোদক এই জয়ে আপ্লুত। কর্মীরাও আবীর খেলে জয় পালন করেছেন।
২০১১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে জেলায় খাতা খুলতেই পারেনি জোড়াফুল। তবে তার পর থেকে ফের টালমাটাল শুরু হয় বিজেপিতে। প্রথমে বিজেপি সভাপতি গঙ্গপ্রাসাদ তাঁর সহযোগীদের নিয়ে তৃণমলে যোগ দেন। সেই সময় ভূষণ মোদককে জেলা সভাপতির দায়িত্ব দেয় বিজেপি। গঙ্গাপ্রসাদের মতো তৃণমূলে যোগ দেন বিজেপি বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলালও। ফলে দলে দায়িত্বে এখন ভূষণের কাঁধে। তবু তিনি এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। এখন তিনি নিজেই মেনে নিচ্ছেন দলের অন্যান্য কাজে ব্যস্ত থাকার জন্য তিনি সময় দিতে পারেননি প্রচারে।