হাতে আর ৬ দিন বাকি। তারপরই রাজ্যজুড়ে শুরু হয়ে যাবে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাই এখন থেকে প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলই সংগঠন থেকে শুরু করে প্রচারের কাজে ব্যস্ত। আর বিরোধীরা রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাজে ক্ষুব্ধ। তাই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী চড়া সুরে আক্রমণ করছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে। এবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি দিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। তবে সেখানে কোনও গালিগালাজ নেই। শুধুই রয়েছে নির্বাচনের স্বার্থে আর্জি। যা খতিয়ে দেখছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? গতকাল শনিবার বিমান বসুর জন্মদিন ছিল। তিনি ৮৪ বছর বয়সে পা রাখলেন। তাই রাজনীতিতে তাঁর বিপুল অভিজ্ঞতা। সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়েই এবার তিনি সুষ্ঠু এবং অবাধ পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য চিঠি লিখে পথ দেখালেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন, প্রত্যেক বুথে তিনটি ভোটদান কক্ষ রাখা দরকার আছে। তাতে ভোটারদের যেমন সুবিধা হবে তেমন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাজ করতেও সুবিধা হবে। এই অনুরোধ জানিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে চিঠি দিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু।
আর কী জানা যাচ্ছে? পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ থেকে শুরু করে মনোনয়ন পর্যন্ত বাংলার মাটিতে যা ঘটেছে তাতে সিপিএম রাজনৈতিকভাবে প্রতিবাদ করলেও কলকাতা হাইকোর্টকে ধরে বৈতরণী পার হতে চায়নি। এটা দেখেছে বাংলার মানুষ। এবার বিমান বসু তাঁর চিঠিতে জানিয়েছেন, প্রশিক্ষণের সময় ভোট কক্ষের সংখ্যার নিয়ে নানা কথা জানিয়েছেন ভোটকর্মীরা। কোথাও তিনটি, কোথাও একটি ভোট কক্ষের কথা বলা হয়েছে। এই বিষয়ে একটি নির্দিষ্ট নির্দেশিকা খুব দরকার। কারণ একটি বা দু’টি ভোটদান কক্ষ থাকলে ভোট প্রক্রিয়াও দীর্ঘ হবে। তাতে ভোটারদের ধৈর্যচ্যুতির ঘটতে পারে। তাই সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য প্রত্যেকটি বুথে তিনটি ভোটদান কক্ষ রাখা উচিত বলে তাঁর মত।
আরও পড়ুন: মধ্যরাতে খড়্গপুর আইআইটিতে লাগল আগুন, লেলিহান শিখায় ভস্মীভূত কমনরুম
ঠিক কী লিখেছেন চিঠিতে? ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে তিনটি কক্ষ রাখার কারণ তিনি চিঠিতে ব্যাখ্যা করেছেন। একইসঙ্গে তিনি আশাবাদী রাজ্য নির্বাচন কমিশন তাঁর অভিজ্ঞতার দাম দেবেন। তাই বিমান বসু চিঠিতে লিখেছেন, ‘সাধারণত অন্যান্য নির্বাচনের তুলনায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে বেশি সংখ্যক ভোটাররা অংশ নেন। ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রত্যেক ভোটারকে তিনটি ব্যালট পেপারে ভোট দিতে হয়। গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদ। তাই ভোটদানে বেশি সময় লাগে। তাই তিনটি কক্ষ রাখা হলে সেটায় সময় কম লাগবে এবং ভোটদান প্রক্রিয়া সুষ্টু হবে।’