এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে কুরুচিপূর্ণ পরিবেশ তৈরি হল। আগামী ৮ জুলাই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। এখন সব রাজনৈতিক দলই মাঠে নেমে পড়েছে প্রচারে। একের বিরুদ্ধে অন্যের অভিযোগ থেকে শুরু করে নানা আক্রমণ শোনা যাচ্ছে গ্রামবাংলার মাঠে–ঘাটে। এমনকী উত্তরবঙ্গের দিনহাটা থেকে শুরু করে দক্ষিণবঙ্গের ভাঙড়— হিংসার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। আইএসএফ থেকে বিজেপি সকলের একই অভিযোগ। এই আবহে এবার দেখা গিয়েছে বিজেপির পতাকায় কন্ডোম ঝুলছে! এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। তখনই অভিযোগ তোলা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। যদিও এই অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে এই ঘটনায় জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জে চর্চা তুঙ্গে।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে কেউ বা কারা বিজেপির দলীয় পতাকায় একটি কন্ডোম ঝুলিয়ে দেয়। আর তা দেখতে পান জলপাইগুড়ির স্থানীয় বাসিন্দারা। তখন এমন কুরুচিপূর্ণ ঘটনার খবর দেওয়া হয় বিজেপি প্রার্থী অলোকা কুজুরকে। তিনি বিষয়টি দেখার পর দলীয় নেতৃত্বকে খবর দেন। গোটা এলাকায় যখন শোরগোল পড়ে গিয়েছে তখন সেখানে ছুটে আসেন বিজেপি কিষাণ মোর্চার জেলা সভাপতি নকুল দাস। তৎক্ষণাৎ ছবি তুলে তিনি এই ঘটনা সম্পর্কে পুলিশকে খবর দেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে বিজেপির পতাকা সেখান থেকে নিয়ে যায়। তারপরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় বিজেপির পক্ষ থেকে।
আর কী জানা যাচ্ছে? জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের শিকারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৮/৫১ নম্বর বুথ এলাকার এই ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে। তবে এই ঘটনায় কারা জড়িত সেটা এখন পরিষ্কার হয়নি। কারণ বিজেপির কেউ দেখেননি পতাকায় কে বা কারা কন্ডোম পরিয়েছে। তবে দলীয় পতাকায় কন্ডোম দেখে অনেকে হেসেছেনও। এটা নতুন আঙ্গিক বা ভাবনা বলে মনে করছেন তাঁরা। আজ, শুক্রবার সকাল থেকে এই ঘটনাই চর্চায় উঠে এসেছে চায়ের দোকান থেকে পাড়ার মোড়ে। এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে রাজগঞ্জ থানার অধীনে বেলাকোবা ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য তৈরি কলকাতা পুলিশ’, থানা ঘুরে জানিয়ে দিলেন নগরপাল
ঠিক কী বলছে বিজেপি–তৃণমূল? এই ঘটনার নিন্দাই করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি নারায়ণ বসাক সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘এই জাতীয় কাজ অত্যন্ত নিন্দনীয়। তৃণমূল কংগ্রেস এসবের সঙ্গে জড়িত নয়।’ যদিও তা মানতে নারাজ বিজেপি। এই বিষয়ে বিজেপি কিষাণ মোর্চার জেলা সভাপতি নকুল দাস বলেন, ‘এই ঘটনা তৃণমূলের পক্ষেই করা সম্ভব। কারণ, তৃণমূল কংগ্রেসের যুব নেত্রী সায়নী ঘোষ শিবলিঙ্গে কন্ডোম পরিয়ে দেওয়ার মতো কাণ্ড করেছিলেন। তাই ওরাই এমন কাজ করতে পারে বলে বিশ্বাস করি। এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করছি। পুলিশকে সঠিক তদন্ত করতে বলেছি।
’