আবার ডেডলাইন দিয়ে বসলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আগেও এমন ডেডলাইন দিয়ে তিনি রাজ্যের মানুষের কাছে হাসির খোরাক হয়েছিলেন। বরং যতগুলি তারিখ বলেছিলেন তত বিপদ ঘটেছিল সংশ্লিষ্ট তারিখে। এমনকী দলের অন্দরে তিনি সমালোচিত হয়েছিলেন। এবার ডিসেম্বর মাসের পর জুন মাস। আবার রাজ্য– রাজনীতিতে ফিরল সরকার ফেলার ‘ডেডলাইন’। আজ, বুধবার পটাশপুরের সভা থেকে সরাসরি মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের সরকারকে তিন মাসের ‘ডেডলাইন’ দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
ঠিক কী বলেছেন শুভেন্দু? গতকাল জলপাইগুড়ির জনসভা থেকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের মেয়াদ আর ৬ মাস। সুতরাং ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদীর সরকারের পতনের ডেডলাইন দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ, বুধবার তার পাল্টা দিলেন নন্দীগ্রামে বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। এদিন পটাশপুরের সভায় শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘৩ মাসের মধ্যে এই চোরেদের সরকারকে বিদায় দেব। লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে বিজেপির আসন ১৮ থেকে ৩৬ করব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে মানুষ নেই। পঞ্চায়েতগুলিকে চোরমুক্ত করাই বিজেপির অঙ্গীকার।’
ঠিক কী বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী? জলপাইগুড়ির সভা থেকে বিএসএফ এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন তিনি বলেছিলেন, ‘ও হে নন্দলাল ১২০০ টাকার গ্যাসে ফুটছে বিনা পয়সার চাল। সব বন্ধ করলেও আমাদের মুখ বন্ধ করতে পারবে না। বিজেপির আয়ু আর মাত্র ৬ মাস। আগামী বছর লোকসভা নির্বাচনে দেশ থেকে ধুয়ে যাবে বিজেপি।’ এখন রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। আগামী ৮ জুলাই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে শাসক–বিরোধী সুর চড়েছে সপ্তমে।
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে অবসর রাজ্যের মুখ্যসচিবের, নতুন কে আসীন হবেন?
আর কী বলেছেন শুভেন্দু? মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা, মন্ত্রীরা একশো দিনের কাজ থেকে শুরু করে আবাস যোজনার টাকা আটকে রাখা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে তুলোধনা করেন। এমনকী দিল্লি চলোর ডাক দিয়েছেন খোদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার এই ইস্যু নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘আমরা টাকা আটকাইনি। চুরি আটকেছি। মানুষকে প্রকল্পের টাকা না দিয়ে টাকা চুরি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আবাস থেকে শৌচালয়ের টাকা চুরি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ৫০০ টাকা তৃণমূলের নয় সরকারের টাকা। বিজেপি ক্ষমতায় এলে সবাই ২০০০ টাকা করে পাবে।’ পাল্টা দিয়েছেন কুণাল ঘোষ। তাঁর কথায়, ‘বদ্ধ উন্মাদ। কিছুদিন পর পর একটা করে তারিখ দেয়। সেই তারিখ পেরিয়ে গেলে তার আর কেউ খোঁজ নেয় না। উনি গলাবাজি করে নিজের দোষ ঢাকেন।’