দীর্ঘ টালবাহানার পর রাজ্য নির্বাচন কমিশনের চিঠির উত্তর দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এমনকী কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে চিঠি লিখে বাহিনী বণ্টনের তালিকা প্রকাশ করে দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। আবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়ে দিয়েছে এখন ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো সম্ভব নয়। তাই ৩৩৭ কোম্পানি বাহিনী দিয়েই পঞ্চায়েত নির্বাচনের কাজ চালাতে হবে। এই উত্তর পেয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে বলে সূত্রের খবর। তবে দ্রুতই রাজ্যে আসছে ৩১৫ কোম্পানি আধাসেনা। তা নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তবে বাকি ৪৮৫ কোম্পানি বাহিনী নিয়ে এখনও নীরব কেন্দ্র।
এদিকে কেন্দ্রীয় বাহিনী বন্টনের তালিকা অনুযায়ী, ১১ জেলায় সিআরপিএফ, ৬ জেলায় সিআইএসএফ, ৯ জেলায় বিএসএফ রাখা হবে। আর তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে বাঁকুড়া, বীরভূমে। যদিও এখানে তেমন কোনও বড় হিংসার ঘটনা ঘটেনি। আর দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগণা, ঝাড়গ্ৰাম, নদিয়ায় রাখা হবে সিআরপিএফ জওয়ানদের। তবে এই কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা বাড়লে মোতায়েন এবং বন্টনের ক্ষেত্রে পরিবর্তন আসবে। কেন্দ্রের কাছে মোট ৮২২ কোম্পানি বাহিনী চেয়ে চিঠি দেয় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তারপর ২২ কোম্পানি বাহিনী পাঠিয়ে দেয় কেন্দ্র। এবার ৩১৫ কোম্পানি পাঠানোর কথা জানানো হয়েছে। তাহলে আগের ২২ আর এখন ৩১৫ মিলিয়ে মোট সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৩৭।
আর কী জানা যাচ্ছে? অন্যদিকে মুর্শিদাবাদে ২৬ কোম্পানির মধ্যে কত সংখ্যক বিএসএফ, সিআরপিএফ কত থাকবে তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছিল। এবার সেই তালিকা প্রস্তুত করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। কিন্তু আবার যদি বাহিনী সংখ্যা বাড়ে সেক্ষেত্রে বদলাবে তালিকাও। তবে বকেয়া ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে বেশ কয়েক দফায় চিঠি চালাচালি হলেও সমস্যা মেটেনি। সেক্ষেত্রে কি ভোটের দফা বৃদ্ধির পথে হাঁটবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন? এই প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজ্য–রাজনীতিতে। যদিও বিরোধীরা তাই চান। সূত্রের খবর, বুধবারের মধ্যে দ্বিতীয় দফার ৩১৫ কোম্পানি বাহিনী নানা জেলায় পৌঁছে যাবে।
আরও পড়ুন: ‘এটা আসল চোট না রাজনৈতিক বোঝা যাচ্ছে না’, মমতাকে খোঁচা দিলেন দিলীপ ঘোষ
তাহলে এরপর কী হবে? রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিশেষ পর্যবেক্ষকদের নাম এবং ফোন নম্বর ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। দরকার পড়লে তাঁদের ফোন করে অভিযোগ জানানো যাবে। আবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নোডাল অফিসার বিএসএফের আইজি এবং সিআরপিএফের ডেপুটি কম্যান্ড্যান্টের সঙ্গে রাজ্য নির্বাচন কমিশন চার দফা বৈঠক করেছে। প্রাথমিকভাবে একটি তালিকা তৈরি করে দেওয়া হয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে। তবে তাতে বাহিনীর সংখ্যা বাড়বে কিনা তা নিয়ে সন্দিহান সবপক্ষই। কারণ বাকি ৪৮৫ কোম্পানি বাহিনী নিয়ে কোনও উত্তর দেওয়া হয়নি।