পরিবহণ সংগঠনগুলির দাবি না মেনে পঞ্চায়েত ভোটের জন্য গাড়ি ভাড়া নিতে শুরু করে দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সম্প্রতি পরিবহণ দফতর ও নিবার্চন কমিশনের কাছে ভাড়া ও অনুষঙ্গ খরচ বৃদ্ধির জন্য আবেদন জানিয়েছিল পরিবহণ সংগঠনগুলি কিন্তু তা না মেনেই গাড়ি ভাড়া নেওয়া শুরু করল কমিশন।
(পড়তে পারেন। একসঙ্গে ৩০০ সরকারি কর্মীকে শোকজ করল প্রশাসন, কেন এমন ঘটনা ঘটল?)
গত এপ্রিল মাসে এই দাবি জানিয়ে পরিবহণ দফতরে একটি ডেপুটেশন জমা দেয় ‘জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেট’। সে ডেপুটেশনে দেওয়া দাবিগুলির মধ্যে ছিল, দৈনিক সাড়ে তিন হাজার টাকা করে ভাড়া। বাসের তিন জন কর্মীকে ৩০০ টাকা করে খোরাকি দেওয়ার কথা বলা হয়।এর সঙ্গে দাবি করা হয়েছিল, নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকাকালীন ডিজেল ও মোবিল সরবরাহের দায়িত্বে নিতে হবে রাজ্য সরকারকে। একই সঙ্গে বলা হয়েছিল, ভাড়ার ৭৫ শতাংশ আগেভাগে দিতে হবে। বাকি টাকা ১৫ দিনের মধ্যে মিটিয়ে দিতে হবে।
মে মাসে মে মাসে ‘জয়েন্ট ফোরাম অফ ট্রান্সপোর্ট অপারেটরস’ও কার্যত একই দাবি নিয়ে রাজ্য পরিবহণ দফতর ও কমিশনের কাছে চিঠি পাঠায়। কিন্তু শেষবেলায় দেখা যায় ২০২১ সালে বিধানসভার ভোটের সময় যে শর্তে গাড়ি ভাড়া নেওয়া হয়েছিল সেই শর্তে পঞ্চায়েত ভোটেও নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
পঞ্চায়েত ভোটের আর মাত্র নয়দিন বাকি। এর মধ্যে বেসরকারি বাস ভাড়া নেওয়ার কাজ শুরু করে দিয়েছে কমিশন। পরিহবণ সংগঠনগুলির অভিযোগ তাদের দাবিকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করেই একতরফা ভাবে গাড়ি ভাড়া নিচ্ছে কমিশন।
অনলাইন ক্যাব অপারেটর গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রনীল বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন, 'পরিবহণ দফতর বা রাজ্য নির্বাচন কমিশন কেউ আমাদের সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজন মনে করেনি। কার্যত একতরফা ভাবে গাজোয়ারি করে রাস্তা থেকে গাড়ি তুলে নেওয়া হচ্ছে।'
(পড়তে পারেন। Bengal Panchayat Election 2023: 'আমায় ভোট দেবেন না!' ফেক্স টাঙিয়ে প্রচারে নির্দল প্রার্থী, কারণটা কী?)
জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের তপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের একই অভিযোগ। তিনি বলেন, 'এপ্রিলে পরিবহণ দফতরকে চিঠি দেওয়ার পর আমরা গিয়ে আলোচনায় বসেছিলাম। মন্ত্রী এবং সচিবকে বোঝাই কত খরচ বেড়েছে, কেন ভাড়া বাড়ানো উচিত। কিন্তু ভোটের গোড়ায় এসে দেখা গেল রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও পরিবহণ দফতর তাদের সিদ্ধান্ত আমাদের উপর চাপিয়ে দিয়েছে।'