কোচবিহারের চান্দামারিতে পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে মিটিং করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সেখান থেকে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীকে নিশানা করে তির ছুঁড়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। তবে এবার তার কড়া জবাব দিল বিএসএফ।
মমতা বলেছিলেন, আমার কাছে খবর আছে ইলেকশনের সময় আপনাদের যারা ভয় দেখাবে, বলবে তুলে নেব, সিবিআই লাগাব, ইডি লাগাব, আইনত ল অ্য়ান্ড অর্ডার স্টেট সাবজেক্ট। এটা রাজ্য সরকারের মধ্যে পড়ে। এটা কেন্দ্রীয় সরকারের আন্ডারে পড়ে না। ভয় দেখালে কমপ্লেন করবেন। ভয় দেখালে ঘরে বসে থাকবেন না। মনে রাখবেন যে শহিদ পরিবার উঠে দাঁড়িয়ে কাঁদছে তার বদলা নিতে আপনাকে তৃণমূলকে তিনটি ভোট দিতে হবে।
আর তার জবাবে বিএসএফ জানাল, 'সিএম ওয়েস্ট বেঙ্গল বিএসএফের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছেন চান্দামারি থেকে, তা ভিত্তিহীন ও সত্য থেকে অনেক দূরে।
বিএসএফ একটা পেশাগত বাহিনী। ভারতের আন্তর্জাতিক সীমান্ত রক্ষার দায়িত্বে রয়েছে। কোনও কারণে সীমান্ত এলাকার কোনও মানুষকে বা ভোটারকে প্ররোচিত করে না। বর্ডার এরিয়ায় বসবাসকারী মানুষদের মধ্য়ে সুরক্ষার মনোভাব আনার জন্য এই বাহিনী কাজ করে। সীমান্তের অপরাধের বিরুদ্ধেও কাজ করে বিএসএফ। বেআইনীভাবে অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধেও কাজ করে বিএসএফ।
বিএসএফ বা তার সিস্টার এজেন্সির কাছে ভোটারদের প্রভাবিত করা নিয়ে কোনও অভিযোগ আসেনি।
বিএসএফকে ভোটের ডিউটিতে নিয়োজিত করা হয়। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমেই তারা পরিচালিত হন। '
বিএসএফ সম্পর্কে যে অভিযোগ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এনেছেন তা বাহিনীর পক্ষ থেকে অস্বীকার করা হচ্ছে। বিএসএফের গুয়াহাটি ফ্রন্টিয়ারের পক্ষ থেকে এই বিবৃতি জারি করা হয়েছে।
কার্যত লিখিত বিবৃতি জারি করে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যকে উড়িয়ে দিল বিএসএফ। সেই সঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যকে ভিত্তিহীন ও সত্য থেকে অনেক দূরে বলে লিখিতভাবে উল্লেখ করেছে বিএসএফ। তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এভাবে সরাসরি কয়েক ঘণ্টার মধ্য়ে বিএসএফের বিবৃতি জারি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
সীমান্তবর্তী কোচবিহার। সীমান্ত লাগোয়া একাধিক পঞ্চায়েত রয়েছে। সম্প্রতি বার বার উত্তপ্ত হয়েছে গীতালদহ। সীমান্তের ভোটের উপর কোচবিহারে শাসকদলের ভবিষ্যৎ অনেকটাই নির্ভর করছে। তবে এর আগে দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ সুর চড়াতেন বিএসএফের বিরুদ্ধে। এবার খোদ মুখ্যমন্ত্রী। তবে এবার একেবারে লিখিতভাবে তার জবাব দিল বিএসএফ। ভোটের মুখে এই বিবৃতি কার্যত নজিরবিহীন।