আজ, শনিবার সকাল থেকে গ্রামবাংলা জুড়ে শুরু হয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। শুরুতেই অশান্তির খবর আসছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের শুরুতেই বিভিন্ন জেলায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। বোমাবাজি, গুলি থেকে শুরু করে খুন করার অভিযোগ পর্যন্ত সামনে এসেছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের হিংসা অব্যাহত নদিয়ায়। নদিয়ার চাপরা থানার কল্যাণদহে ১৪৮ নম্বর বুথে এক তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল। তবে এই অভিযোগের তির কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আনুমানিক ৩০ জন।
ঠিক কী অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের? এই খুনের ঘটনা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, দলবদ্ধভাবে ভোট দিতে যাচ্ছিলেন তৃণমূল কর্মীরা। তখন তাঁদের উপর হামলা চালায় কংগ্রেস কর্মীরা। ধারাল অস্ত্র দিয়ে তৃণমূল কর্মীদের উপর আক্রমণ করা হয় বলে অভিযোগ। এই হামলার ঘটনায় ১১ জন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী গুরুতর জখম হন। আহতদের চাপড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ভর্তি করা হলে সেখানেই এক তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীকে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ভোটের লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন ওই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী। তখনই সেখানে ঝামেলা হয়। ওই মুহূর্তে কয়েকজন এসে কুপিয়ে খুন করে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীকে।
তারপর ঠিক কী ঘটল? এই ঘটনা দেখে শিউরে ওঠেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অনেকেই ভোট না দিয়ে পালিয়ে যান। যদিও বাম–কংগ্রেস নেতৃত্ব এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। মৃত তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর নাম হামজাদ আলি হালসানা (৩৫)। চাপড়া হাসপাতালে আহতদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন চাপড়ার বিধায়ক রূকবানুর রহমান। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিযে সুষ্ঠু, অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ ভোট করার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু আজ যা ঘটল তাতে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল। এই নিয়ে টুইট করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত যাবতীয় খবর এবং লাইভ আপডেট জানতে ক্লিক করুন এখানে
আরও পড়ুন: ‘কেন্দ্রীয় বাহিনী দিতে হবে’, ফোন শেখ সুফিয়ানের,নন্দীগ্রামে বুথের ভিতর লুকিয়ে পুলিশ
ঠিক কে, কি বলছেন? এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে এখন আলোড়ন ছড়িয়ে পড়েছে নদিয়ায়। বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক রুকবানুর রহমান সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী এবং ভোটাররা ভোট দিতে যাওয়ার সময় ধারাল অস্ত্র দিয়ে তাদের ওপর আক্রমণ করে কংগ্রেসের দুষ্কৃতীরা। সন্ত্রাস করে পঞ্চায়েত দখল করতে চাইছে কংগ্রেস। তবে মানুষ নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার পুরোপুরি বুঝে নেবে।’ পাল্টা কংগ্রেস নেত্রী সিলভি সাহা বলেন, ‘চাপড়ায় অবাধে ভোট লুট করা হচ্ছে। কোথাও পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী নেই। তৃণমূল মিথ্যে কথা বলছে।’ তৃণমূল কংগ্রেসের টুইটে লেখা হয়েছে, ‘শিউরে ওঠার মতো একের পর এক দুর্ভাগ্যজনক ঘটনায় ভোটারদের মধ্যে শকওয়েভ কাজ করছে। রেজিনগর, তুফানগঞ্জ, খড়গ্রামে তিনজন দলীয় কর্মী খুন হয়েছেন। ডোমকলে গুলিতে দুই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী আহত হয়েছেন।’