আজ, শনিবার সকাল থেকে গ্রামবাংলা জুড়ে শুরু হয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। শুরুতেই অশান্তির খবর আসছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের শুরুতেই বিভিন্ন জেলায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। বোমাবাজি, গুলি থেকে শুরু করে খুন করার অভিযোগ পর্যন্ত সামনে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে এবার কোনওরকম হিংসা ছাড়াই একঘণ্টায় ভোটদান পর্ব শেষ হয়ে গেল উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে। গোটা পঞ্চায়েত নির্বাচনে এটাই সবচেয়ে নজিরবিহীন ঘটনা। একঘণ্টার মধ্যেই শেষ হলেও ভোট পড়ল মাত্র তিনটি। আর তারপর দেদার ছাপ্পা ভোট পড়ার অভিযোগ। উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের আগডিমটিখন্তিতে এটাই এখন চর্চিত বিষয়। এখানের ৭৮ নম্বর বুথের ঘটনায় সবাই বাকরুদ্ধ। শুধু তাই নয়, এই বিষয়টি নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।
এদিকে গঙ্গারামপুরের জয়দেবপুর নিম্ন বুনিয়াদী বিদ্যালয় ব্যাপক ছাপ্পা ভোট পড়ে বলে অভিযোগ। এই খবর পেয়ে ছুটে আসেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তখন সুকান্ত মজুমদারকে ঘিরে হাতজোড় করে দায়িত্ব থেকে মুক্তি দেওয়ার আবেদন করলেন শিলিগুড়ি কমিশনারেটের এক পুলিশকর্মী। সুকান্ত মজুমদার ঘটনাস্থলে এসে শিলিগুড়ি কমিশনারের থেকে তথ্য নেন। তিনি জানান, এখানে এক পুলিশ অফিসার নিজে স্বীকার করেছেন তাকে প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। দুষ্কৃতীরা এসে পুরো ছাপ্পা ভোট করছে। আগডিমটিখন্তির ৭৮ নম্বর বুথে দীর্ঘ লাইন পড়ে। কিন্তু ঘড়িতে সকাল ৮টা বাজতেই দেখা গেল, ভোট–পর্ব শেষ। আর ব্যালট বাস্ক সিল করে বের করা হচ্ছে। তখন ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয় ভোটারদের।
অন্যদিকে জগৎবল্লভপুর ব্লকের বর্গাছিয়া ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৭৩ এবং ৭৪ নম্বর বুথ দখল করে ছাপ্পা মারার অভিযোগ উঠেছে। গ্রামবাসীরা ভোট দিতে গেলে বাধা দেওয়া হয়। এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশ লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করলে জমায়েত সরে যায়। রামপুরহাট দুই ব্লকের বুধিগ্রামের ইমামনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ব্যাপক ছাপ্পা ভোটের খবর আসে। তবে উত্তর দিনাজপুরে অভিযোগ ওঠে, ভোটার এবং সমস্ত ভোটকর্মীকে বুথ থেকে বের করে দিয়ে দেদার ছাপ্পা ভোট দেওয়া হয়েছে। তার জেরেই একঘণ্টার মধ্যেই ভোটগ্রহণ শেষ হয়ে যায়।
পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত যাবতীয় খবর এবং লাইভ আপডেট জানতে ক্লিক করুন এখানে
আরও পড়ুন: তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীকে পিটিয়ে খুন নদিয়ায়, পঞ্চায়েত নির্বাচনে উত্তেজনা চরমে
আর কী জানা যাচ্ছে? ছাপ্পা ভোট দেওয়ার অভিযোগ ওঠে হুগলির আরামবাগে। তার জেরে ব্যালট বাক্সই জলে ফেলে দিল বিজেপি কর্মীরা। আরামবাগের ধামসা এলাকার ১৪১ নম্বর বুথে ঘটনাটি ঘটে। একটি নয় দুটি ব্যালট বাক্স ভাসতে দেখা গেল জলে। এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। বিজেপির অভিযোগ, ১৪১ নম্বর বুথে ঢুকে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা ছাপ্পা দেয়। আর তার জেরেই শুরু হয় উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ। পরে বুথে থাকা দুটি ব্যালট বাক্স তুলে নিয়ে গিয়ে জলে ফেলে দেয় বিজেপি বলে অভিযোগ। প্রশ্ন উঠছে, এই বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী কোথায় ছিল?