পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসার জন্য এবার সরাসরি পুলিশকে কাঠগড়ায় তুললেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক তাপস রায়। পুলিশের অযোগ্যতার জন্যই এই ঘটনাগুলি ঘটেছে বলে তাঁর অভিযোগ। আগে দমদমের সাংসদ সৌগত রায় সরাসরি রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। মদন মিত্রও বারবার পুলিশের উপর অনাস্থা দেখিয়েছেন। আর সম্প্রতি পূর্ব মেদিনীপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি চঞ্চল খাঁড়ার উপর বিজেপি আক্রমণ নামিয়ে আনায় পুলিশের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। এবার দলের শীর্ষনেতাও পুলিশকে আক্রমণ করলেন। যা নিয়ে রাজ্য–রাজনীতি তোলপাড় হয়েছে।
এদিকে এবার আরও এক ধাপ এগিয়ে পুলিশের একটা অংশকে ‘অপদার্থ, অকর্মণ্য’ বলে তোপ দাগলেন বরানগরের বিধায়ক তাপস রায়। পুলিশের একটা অংশ অযোগ্য এবং আর একটি অংশ মজা দেখছে। যারা মজা দেখছে তারা সরকারকে হেও করতে চায়। তারা একেবারে এই সরকারের বিরোধী শক্তি বলে মন্তব্য করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক তাপস রায়। আর তা নিয়েই চলছে চর্চা। ৩৭ দিনে ৪৯ জন ভোট সন্ত্রাসে বলি হয়েছেন। তার জেরে পঞ্চায়েত নির্বাচন রক্তাক্ত হয়েছে। একের পর এক মৃত্যুতে স্বজন হারানোর কান্নায় ভারী হয়েছে বাতাস। এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২১ জন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর। এবার সেই সব দেখে নিজের ক্ষোভ উগড়ে দিলেন বিধায়ক তাপস রায়। আর নিশানা করলেন পুলিশকে।
ঠিক কী বলেছেন বিধায়ক? অন্যদিকে নির্বাচনে হিংসা বিরোধীরা করেছে বলে জানিয়ে দিয়েছেন কুণাল ঘোষ–ব্রাত্য বসুরা। সেখানে তাপস রায়ের এমন ক্ষোভ দলের অন্দরে অস্বস্তি বাড়িয়েছে। এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে তাপস রায় বলেন, ‘এই যে ঘটনাগুলি ঘটল, আমি কিন্তু কখনও শাসকদলের প্রতিনিধি হিসেবে বলব না হলেই ভাল হয়েছে। আমি শাসকদলের প্রতিনিধি হিসেবে বলব যে দায়টা আমাদের সবচেয়ে বেশি। এই যে আমরা আমাদের কর্মীদের–ভাইদের–সহকর্মীদের রক্ষা করতে পারলাম না, এটাও কি যন্ত্রণার নয়? এটা কি দুঃখের নয়? এই দায় তো আমাদেরই।’
আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতির রিপোর্ট জমা পড়ল কলকাতা হাইকোর্টে, তালিকা দিতেও নির্দেশ
কিন্তু পুলিশকে দায়ী করলেন কেন? পঞ্চায়েত নির্বাচন হয় রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নেতৃত্বে। সেক্ষেত্রে পুলিশ, জেলা প্রশাসন কমিশনের অধীনে থাকলেও মূলত রাজ্যেরই হাতে থাকে তারা। এই বিষয়টিকে সামনে রেখে বিধায়ক তাপস রায়ের বক্তব্য, ‘কিছু পুলিশ অকর্মণ্য, অপদার্থ। আর একটা অংশ মজা দেখছে। আমাদের দলের সরকারকে হেও করছে। আমাদের সরকারের বিরোধী। তাই এসব করছে। তারা কেন করছে কী জন্য করছে তা বিশদে আর বলতে চাই না। ইনকম্পিটেন্ট পুলিশ আর মজা দেখা পুলিশ এই দুটো মিলে এই হাল করেছে। না হলে এটা হতো না।’