জলপাইগুড়ির সভা থেকে ফের বিএসএফকে কড়া ভাষায় বার্তা দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতদিনও তিনি কোচবিহার থেকে বিএসএফকে নিশানা করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তারপর জবাব দেয় বিএসএফও। এবার আবার কড়া বার্তা দিলেন তিনি বিএসএফকে। মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি থেকে বিএসএফ–কে নিরপেক্ষ হয়ে কাজ করার বার্তা দিলেন তিনি।
গতকাল কোচবিহার থেকে বিএসএফকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তখন তিনি বলেছিলেন, ‘কোচবিহারে গুলি করে মারাটা যেন এক অধিকারের মধ্যে পড়ে গিয়েছে। এরা করবে দেশ শাসন? প্রশাসনকে বলব সজাগ দৃষ্টি রাখতে। বিএসএফ ভয় দেখালে অভিযোগ করবেন, ভয়ে ঘরে বসে থাকবেন না।’ আর এবার মুখ্যমন্ত্রীর কড়া বার্তা, ‘বিএসএফের সবাই খারাপ নয়। নিরপেক্ষ হয়ে কাজ করতে হবে।’ সুতরাং বিএসএফ যে নিরপেক্ষভাবে কাজ করে না সেটা আবার গ্রামবাংলার মানুষকে বুঝিয়ে দিলেন তিনি।
আর কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী? আজ, মঙ্গলবার জলপাইগুড়ির চেকেন্দা ভাণ্ডারি ময়দানের জনসভা থেকে বিএসএফ এবং প্রধানমন্ত্রীকে কড়া ভাষায় বার্তা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বিএসএফের উদ্দেশে বলেন, ‘মোদী আছে কাল থাকবে না। কিন্তু আপনারা সীমান্ত রক্ষার জন্য থাকবেন। তাই নিরপেক্ষ হয়ে কাজ করুন। আজও শুনলাম বাংলাদেশ থেকে দুষ্কৃতী নিয়ে এসে কোচবিহারে গুলি করে একজনকে মেরে দেওয়া হয়েছে।’ আর প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করে বলেন, ‘আমি যদি আমার দেশকে চিনে থাকি তাহলে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার আর মাত্র ছয় মাসের আয়ু। ধুয়েমুছে সাফ হয়ে যাবে। তাই এখন লবি করতে শুরু করেছে।’
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত নির্বাচন লড়ার টাকা নেই, সোশ্যাল মিডিয়ায় আর্থিক সাহায্য চাইল কংগ্রেস
এদিকে দিনহাটায় এক তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীকে বাড়িতে ঢুকে গুলি করে খুন করার খবর মুখ্যমন্ত্রী কানে গিয়েছে। সেটা নিয়ে তিনি এই জনসভা থেকে সোচ্চার হয়েছেন। আর এই পরিবারটি যাতে ভেসে না যায় তাই মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ‘ওই পরিবারের একজন স্পেশাল হোমগার্ডের চাকরি পাবেন। আর দু’লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। এটা আমাদের পূর্ব ঘোষিত নীতি। নতুন নয়। আমি আগেও দিয়েছি।’ অন্যদিকে এরপরই পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে জনগণকে তাঁর বার্তা, ‘আলিপুরদুয়ার থেকে একটি এবং জলপাইগুড়ি থেকে দুটি আসন পেয়েছি। বিধানসভা নির্বাচনে বাকি সব বিজেপি পেয়েছে। এবার আশা করি পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমরা আপনাদের সমর্থন পাবো। কারণ সমস্ত সামাজিক প্রকল্প সবাইকে দিয়েছি। কোনও বিভাজন করিনি। আপনারাই আমাদের লক্ষ্মী। কৃষকবন্ধু এখন সবাই পাচ্ছে। তাই তৃণমূল কংগ্রেসকেই ভোট দেবেন।’