আজ ত্রিপুরা বিধানসভার হাইভোল্টেজ নির্বাচন। ৬০টি বিধানসভা কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিভিন্ন দলের মোট ২৫৯ জন প্রার্থী। ভোটার সংখ্যা ২৮ লক্ষ ১৪ হাজার জন। মোট বুথের সংখ্যা ৩ হাজার ৩৩৭। ত্রিপুরায় ভোটগ্রহণ শুরুর পর থেকেই অশান্তির খবর এসেছে বিভিন্ন জায়গা থেকে। ধনপুর কেন্দ্রে ভোটারদের ভোট দিতে বাধা দেওয়ার কারণে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে ত্রিপুরায় আবারও বিজেপি ক্ষমতায় এসে সরকার গঠন করবে বলেই দৃঢ় কন্ঠে দাবি করলেন সেই রাজ্যের প্রথম বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্তমানে রাজ্যসভার সাংসদ বিপ্লব দেব।
এদিন এক টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিপ্লব দেব দাবি করেন, বর্তমানে তিনি ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী না থাকলেও এখনও তিনি ত্রিপুরার মুখ রয়েছেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদে তিনি না থাকলেও মানিক সাহা তাঁর কাজগুলি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘আমি যে কাজগুলি করেছিলাম সেগুলি মানিক সাহা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আমি এখনও ত্রিপুরায় বিজেপির মুখ, ভবিষ্যতেও থাকব।’ তিনি আরও জানান, তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হলেও দলের প্রতি তাঁর কোনও আক্ষেপ নেই। তিনি বলেন, ‘আমি খুব কম সময়ে বেশি পদ পেয়েছি। জাতীয় নেতৃত্ব যেভাবে আমাকে পদ দিয়েছে তা খুবই কম লোককে দেওয়া হয়। ত্রিপুরার মানুষ আমাকে ভালোবাসে। দল আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। এবার আমার দেওয়ার পালা। আমি বিশ্বাস করি ত্রিপুরায় আবারও বিজেপি ফিরে আসবে।’
ত্রিপুরায় ভোটের হার নিয়েও আশাপ্রকাশ করেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ভোটের লাইনে প্রচুর মহিলাদের দেখা গিয়েছে। যুবরাও রয়েছেন, তেমনি মজুররাও রয়েছেন। যেভাবে সকাল থেকে ভোট পড়েছে তাতে বোঝা যাচ্ছে ত্রিপুরাবাসী বিজেপিকেই জয়ী করবেন।’
প্রসঙ্গত, এবার ত্রিপুরায় ভোটে লড়ছে বাম কংগ্রেস জোট, বিজেপি এবং টিপ্রা মোথা পার্টি। তবে অন্যান্য দলগুলিকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে চাইছেন না বিপ্লব দেব। তিনি বলেন, ‘বামেদের একা লড়াই করার ক্ষমতা নেই। তাই তাদের চির প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের সঙ্গে তারা জোট করেছে। কিন্তু মানুষ বুঝতে পারছে কাদের ভোট দেওয়া উচিত। ত্রিপুরার মানুষ বুদ্ধিমান, বিচক্ষণ তাই তাঁরা শক্তিশালী নেতৃত্বকেই ভোট দেবেন।’
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup