প্রিয়াঙ্কা দেববর্মন
মাস গড়ালেই ভোট ত্রিপুরায়। সেরাজ্যে ইতিমধ্যেই ভোটের হাওয়া সরগরম। তারই মাঝে ত্রিপুরার রাজপুত্র প্রদ্যোৎ দেববর্মার পার্টি তিপরা মোথা পার্টির সঙ্গে হাত মেলানো নিয়ে আলোচনায় রয়েছে বিজেপিক জোটসঙ্গী আইপিএফটি। এই আলোচনার খবর আসতেই জল্পনা শুরু হয়েছে ত্রিপুরার রাজনীতিতে।
উল্লেখ্য, প্রজ্যোৎ দেববর্মা ইতিমধ্যেই নিজের তুরুপের তাসটি ভোট ময়দানে রেখেছেন। জানিয়েছেন, যে পার্টি লিখিত আকারে জানাবে যে, তারা তাঁর পার্টির দাবির সঙ্গে সহমত তাঁকেই জোট সঙ্গী হিসাবে বেছে নেবে তিপরা মোথা পার্টি। এদিকে, প্রদ্যোৎ দেববর্মার তিপরা মোথা পার্টি দাবি করছে পৃথক তিপরা রাষ্ট্রের। সেই জায়গা থেকে ত্রিপুরার রাজনীতিতে কার্যত ব্যাপক ঝোড়ো হাওয়া এই তাঁর এই রাজনৈতিক চাল নিয়ে।
জানা গিয়েছে, বিজেপির শরিক ইন্ডিজেনাস পিপলস ফ্রন্ট অফ ত্রিপুরার প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রদ্যোৎ দেববর্মার বৈঠক অসমের গুয়াহাটির একটি হোটেলে হয়েছে। রুদ্ধদ্বার এই বৈঠকে আউপিএফটি জানিয়েছে, তারা মোথা পার্চির সঙ্গে মিশে যেতে চায়, বলে। এমনই দাবি সূত্রের। যদিও দুই দলের তরফে সেভাবে কোনও আনুষ্ঠানিক বার্তা দেওয়া হয়নি এখনও। তবে প্রদ্যোৎ দেববর্মা সদ্য এক জাতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, তাঁরা দুটি পার্টি তাঁদের পতাকা ও পার্টির প্রতীক নিয়ে আলোচনা করেছে। উল্লেখ্য, জানা যাচ্ছে ত্রিপুরাল ৬০ আসনের বিধানসভা ভোটে পার্বত্য উপত্যকার ভোটে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করতে পারে আঞ্চলিক পার্টিগুলি। যে পার্টিগুলির তালিকায় অন্যতম নাম তিপরা মোথা পার্টি।
প্রসঙ্গত, ত্রিপুরার ২০ টি উপজাতি অধ্যুষিত এলাকায় এই দুই পার্টির প্রভাব যথেষ্ট হতে পারে। অন্যদিকে বিজেপির সঙ্গ ছেড়ে যদি আইপিএফটি চলে যায়,তাহলেও হিসাবে চড়াই উতরাই আসতে পারে শাসকদল বিজেপির। যারা ৬০ আসনের ত্রিপুরা বিধানসভা ভোটে ২০১৮ সালে শাসন ক্ষমতায় এসেছিল। ইতিহাস গড়ে সেই সময়কালে তারা রাজ্যের মসনদ থেকে সরিয়েছে বাম নেতৃত্বকে। সেই জায়গা থেকে গড় ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ রয়েছে বিজেপির সামনে। অন্যদিকে, ২০১৮ সালে একটিও আসন না পেয়ে কার্যত ব্যাপক ভরাডুবি দেখেছে কংগ্রেস। পার্টি ছেড়ে দিয়েছিলেন প্রদ্যোৎ দেববর্মার মতো দাপুটে নেতা। যার পর ২০২২ সালে কংগ্রেসের সামনেও রয়েছে ত্রিপুরায় পোক্ত জমি দখলের চ্যালেঞ্জ। সেই জায়গা থেকে ‘ডিসাইডিং ফ্যাক্টর’ হিসাবে উপত্যকার ২০ টি আসন ত্রিপুরায় সকলের নজরে। এই আসনে তিপপরা মোথা পার্টি ও আইপিএফটি কোন পথে হাঁটে সেদিকে তাকিয়ে দেশের রাজনীতি।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup