প্রাথমিক ট্রেন্ডে ডবল ফিগার ছুঁলে যত বেলা গড়িয়েছে, মেঘালয়ে ততই পায়ের তলা থেকে জমি সরেছে বিজেপির। বিজেপিকে 'খ্রিষ্ঠান বিরোধী' দল আখ্যা দিয়ে এবার প্রচারে নেমেছিল তাদেরই জোটসঙ্গী এনপিপি। তবে সেই তকমা দূরে সরিয়ে মেঘালয়ে ভালো ফল করতে মরিয়া ছিল বিজেপি। আর তাই একক ভাবে ৬০টি আসনেই প্রার্থী দিয়ে নির্বাচনী ময়দানে নেমেছিল গেরুয়া শিবির। প্রচারে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই রাজ্যের বিজেপি প্রধান আর্নেস্ট মাওরি এও বলেছিলেন যে তিনি নিজে গোমাংস খান। তবে খ্রিষ্ঠান বিরোধী তকমা ঘুচিয়ে এই রাজ্যে সেভাবে দাগ কাটতে ব্যর্থ হল বিজেপি। শুধু তাই নয়, রাজ্য সভাপতি আর্নেস্ট মাওরি নিজেও ভোটে হেরে যান। (আরও পড়ুন: ‘ত্রিপুরায় নোটার কাছে হার’, মমতার দলকে ‘তোলামূল’ আখ্যা দিয়ে তোপ শুভেন্দুর)
আর্নেস্ট মাওরি পশ্চিম শিলং কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়েছিলেন। সেই আসনে ইউডিপি পল লিংডোর কাছে হারতে হয় তাঁকে। ইউডিপি প্রার্থী পান ৪২.১৪ শতাংশ। এই আসনে বিজেপি প্রার্থী তৃতীয় স্থানে রয়েছেন। আর্নেস্টের আগে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন এনপিপির মহেন্দ্রো রাপসাং। এনপিপি প্রার্থী পান ২৩.৫৯ শতাংশ ভোট। এদিকে বিজেপির রাজ্য সভাপতির ঝুলিতে যায় ২০.০৭ শতাংশ ভোট। এই আনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী ইওয়ান মারিয়া পান মাত্র ১৯৪ ভোট।
সার্বিক ভাবে মেঘালয়ে মাত্র ২টি আসন জেতে বিজেপি। সেখানে তৃণমূল জেতে পাঁচটি আসনে। সেই অর্থে তৃণমূলের কাছে 'হারতে' হয়েছে বিজেপিকে। এদিকে মেঘালয়ে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল না কোনও দল। একক বৃহত্তম দল হিসেবে উঠে এসেছে এনপিপি। এনপিপি ২৫টি আসন জিতেছে। এই রাজ্যে বিজেপি পায় মাত্র ৯.৩ শতাংশ ভোট। কংগ্রেস ও তৃণমূল পায় ১৩ শতাংশের বেশি ভোট। এনপিপি পায় ৩১.৪ শতাংশ ভোট। ইউডিপি পায় ৬ শতাংশের বেশি ভোট। এই আবহে পুরনো জোট ফর্মুলাতেই হয়ত সরকার গঠন করা হবে এই রাজ্যে। কারণ ভোটের ফল প্রকাশের আগেই গুয়াহাটিতে গিয়ে হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সঙ্গে বৈঠক করে এসেছিলেন এনপিপি সুপ্রিমো তথা বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা।
এদিকে মেঘালয় নিয়ে মোদী টুইটে লেখেন, ‘বিধানসভা নির্বাচনে যারা বিজেপিকে সমর্থন জানিয়েছেন, তাঁদেরকে আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমরা মেঘালয়ের উন্নয়নের গতিপথ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কঠোর পরিশ্রম করে যাব এবং রাজ্যের জনগণের ক্ষমতায়নের দিকে মনোনিবেশ করব। আমি আমাদের দলের কর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। তারা দলের জন্য অনেক খেটেছেন।’