উপনির্বাচনে বড় জয় পেয়েছে ইন্ডিয়া জোট। সাত রাজ্যে কুপোকাত বিজেপি। এবার এই জয় পাওয়ার পরে বিজেপিকে তীব্র কটাক্ষ করলেন রাহুল গান্ধী। তিনি জানিয়েছেন, এই জয়ের মাধ্যমে মানুষের অবস্থানটা পরিষ্কার হয়ে গেল।
এদিকে দেখা যাচ্ছে উপনির্বাচন হয়েছিল ১৩টি আসনে। তার মধ্য়ে ১০টিতে জয়ী ইন্ডিয়া জোট।
এই জয় নিয়ে রাহুল গান্ধী লিখেছেন, এই জনাদেশে এটা বোঝা যাচ্ছে যে ভয়ের সেই জাল আর বিজেপি যে সংশয় , দ্বিধা তৈরি করেছিল সেটা ভেঙে গিয়েছে। প্রতিটি শ্রেণি যেমন কৃষক, যুব, শ্রমিক, ব্যবসায়ী, চাকরিরত সকলেই চাইছেন একনায়কতন্ত্রের অবসান হোক। আইনের শাসন জারি হোক।
মানুষ তাঁদের জীবনযাত্রার উন্নতি ও সংবিধান রক্ষার জন্য ইন্ডিয়া জোটের পাশে দাঁড়িয়েছে। এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী।
এদিকে লোকসভা ভোট থেকেই এবার বোঝা যাচ্ছিল হাওয়া ঘুরছে। তবে সেটা যে এভাবে এতটা বিজেপির পক্ষে হতাশার হয়ে যাবে সেটা বুঝতে পারেননি অনেকেই।
বদ্রীনাথের মতো আসনও পায়নি বিজেপি। বাগদার মতো আসনও হাতছাড়া হয়েছে বিজেপির। একেবারে চরম হতাশার ব্যাপার।
তবে বিজেপি নানাভাবে স্বান্তনা দেওয়ার চেষ্টা করছে দলীয় কর্মীদের। কিন্তু সেটা কতটা সম্ভব হবে সেটাই দেখার।
বিজেপি নেতা অমিত মালব্য এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ইন্ডিয়া জোট বাইপোলের জয় নিয়ে উচ্ছসিত? কিন্তু কীসের আনন্দ?
বাংলা- পুরো ভোটে রিগিং করা হয়েছে। সেখানে অবাধ ভোট হয়নি। কিছু আসনে কংগ্রেস লড়েছিল টিএমসির বিরুদ্ধে। এটা দেখে কি মনে হচ্ছে ইন্ডি জোট কি জয় পেয়েছে? তৃণমূলের ভালো প্রার্থীর অভাব ছিল। সেকারণে তারা বিজেপির প্রাক্তন এমএলএদের প্রার্থী করেছিল।
হিমাচল প্রদেশ-৩- কংগ্রেস সেখানে ক্ষমতায় রয়েছে। বিজেপি হামিরপুর আসন জিতেছে। কংগ্রেস নলাগড় ও দেহরা জিতেছে। ক্ষমতায় থেকেও কংগ্রেস তিনটি আসন জিততে পারেনি।
উত্তরাখণ্ড ২- বদ্রীনাথ কংগ্রেস আর বিজেপির মধ্য়ে ক্ষমতার বদল হয়েছে একাধিকবার। ২০১২ কংগ্রেসের, ২০১৭ বিজেপির, ২০২২ কংগ্রেসের, এবার এল কংগ্রেসের কাছে।…এখানে উদযাপনের কী আছে! আর মাঙ্গলাউর কংগ্রেসের হাতে এসেছে। সেখানে জয়ী হয়েছেন কাজি মহম্মদ নিজামুদ্দিন । দেবভূমির জনসংখ্যার কেমন পরিবর্তন হচ্ছেন দেখুন।
তামিলনাড়ু-২-এখানে কি ডিএমকে ভাবছিল এটাও তারা হারাবে?
মধ্য়প্রদেশ (১)- প্রত্যাশামতই বিজেপি জয়ী হয়েছে।
বিহার-১-নির্দল প্রার্থী জয় পেয়েছেন। ইন্ডিয়া জোটের প্রার্থী তৃতীয় স্থানে।
পাঞ্জাব ১- শাসকদল আপ জিতেছে।
তবে রাজনৈতিক মহলের মতে, এত কিছু লেখার পরেও বিজেপি কতটা স্বস্তিতে থাকবে সেটাই দেখার।