কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপির হাত ধরে পঞ্জাবে নয়া দল খুলেছিলেন ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং। তেব এত কম সময়ের মধ্যে পঞ্জাবিদের মনে দাগ কাটতে ব্যর্থ তাঁর দল পঞ্জাব লোক কংগ্রেস। ক্যাপ্টেন নিজে পতিয়ালা থেকে হেরেছেন। তিনি পেয়েছেন ২৭ শতাংশ ভোট। তবে তাঁর দলের হাল আরও খারাপ। গোটা রাজ্যে পঞ্জাব লোক কংগ্রেসের প্রার্থীদের থেকে নোটায় বেশি ভোট পড়েছে।
পঞ্জাবে নোটায় ভোট পড়েছে ১ লক্ষ ১০ হাজার ৩০৮টি ভোট। অপরদিকে পঞঅজাব লোক কংগ্রেস প্রার্থীরা সম্মিলিত ভাবে গোটা রাজ্যে পেয়েছেন মাত্র ৮৪ হাজার ৬৯৭ ভোট। পাতিয়ালা, পাতিয়ালা গ্রামীণ এবং সানৌর কেন্দ্র বাদে বাকি আর যেকটি কেন্দ্রে ক্যাপ্টেন প্রার্থী খাড়া করিয়েছিলেন, তাঁদের জমানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
২০টি আসনে তো পঞ্জাব লোক কংগ্রেস প্রার্থীরা ১০০০ ভোটের গণ্ডিও পার করতে পারেনি। ১১টি আসনে তো ৫০০ ভোটও পায়নি ক্যাপ্টেনের দাঁড় করানো প্রার্থীরা। উল্লেখ্য, দুই বারের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংয়ের জন্য এই হার হজম করা খুব কঠিন কাজ হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের খুব ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত অমরিন্দরের রাজনৈতিক ভবিষ্যত নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। জোটসঙ্গী বিজেপি যেখানে ২টি আসন জিতেছে এবং ৬.৬ শতাংশ ভোট পেয়ে চতুর্থ স্থানে আছে, সেখানে ক্যাপ্টেনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এদিকে পঞ্জাবে আম আদমি পার্টির ঝাড়ুর দাপটে কংগ্রেস, শিরমোণি অকালি দলেরও বেহাল অবস্থা। পঞ্জাবের ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ ফল করেছে কংগ্রেস। শিরমণি অকালি দল নেমে গিয়েছে সিঙ্গল ডিজিটে। ১১৭টির মধ্যে একা আম আদমি পার্টির ঝুলিতেই গিয়েছে ৯২টি আসন। এই আবহে ক্যাপ্টেনের পাশাপাশি কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী চান্নি, সিধুরাও নিজেদের আসনে হেরেছেন। প্রকাশ সিং বাদল, সুখবীর সিং বাদলরাও হেরেছেন নিজেদের কেন্দ্রে।