হাতো গোনা আর কয়েকটা দিন। তারপরই গুজরাট বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যেই প্রথম দফার ভোটগ্রহণের জন্য মনোয়ন জমার সীমা পার হয়েছে। এরই মধ্যে চরম অস্বস্তিতে পড়েছে কংগ্রেস। প্রার্থী বাছাই নিয়ে অখুশি হওয়ায় দলীয় দফতরে ভাঙচুর চালাল কংগ্রেস কর্মীরা। আমদাবাদ শহরের জামালপুর-খাদিয়া এবং ভাটভা আসনের কংগ্রেস কর্মীরা উচ্চ পর্যায়ের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সোমবার বিক্ষোভ দেখান। দলীয় সদর দফতরে ভাঙচুরও করেন তাঁরা।
সংখ্যালঘু-অধ্যুষিত জামালপুর-খাদিয়ার কর্মীরা বর্তমান বিধায়ক ইমরান খেদাওয়ালাকে টিকিট দেওয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, ইমরান খেদাওয়ালা স্থানীয় রিয়েল-এস্টেট লবির সঙ্গে যুক্ত এবং এবারের নির্বাচনে হেরে যাবেন। এই আসনে এআইএমআইএম গুজরাটের সভাপতি সাবির কাবলিওয়ালা এবং বিজেপির ভূষণ ভাটও নির্বাচনে লড়বেন।
এই আবহে উত্তেজিত কর্মীরা কংগ্রেস সদর দফতরের দেয়াল বিকৃত করেন এবং প্রবীণ কংগ্রেস নেতা ভারতসিংহ সোলাঙ্কির বিরুদ্ধে স্লোগান লিখে দেন। তাঁদের অভিযোগ, খেদাওয়ালার কাছে টিকিট বিক্রি করেছেন ভরতসিংহ। কর্মীদের দাবি, তাঁরা জামালপুর-খাদিয়া থেকে শাহনওয়াজ শেখের জন্য টিকিট চেয়েছিলেন। এই আবহে স্লোগান দিতে দিতে সদর দফতরের দেওয়ালে লাগানো প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতিদের নেম-প্লেট নষ্ট করেন। ভরতসিংহের পোস্টারও পুড়িয়ে দেন তাঁরা। এদিকে কংগ্রেস কর্মীরা ভাটভা আসনের দলীয় প্রার্থী বলবন্ত গাধাভির বিরুদ্ধেও প্রতিবাদ করেন। তাঁরা জানান, কোনও ‘আমদানি করা’ প্রার্থীকে সমর্থন করা হবে না। স্থানীয় কাউকে প্রার্থী করা হলে তাঁর জন্য কাজ করবেন তাঁরা।
এদিকে এই প্রতিবাদ প্রসঙ্গে গুজরাট কংগ্রেসের মুখপাত্র মনীশ দোশী বলেন, ‘মানুষ প্রতিবাদ জানাতেই পারেন। সেই সংক্রান্ত স্বাধীনতা আছে তাদের কাছে। কিন্তু দল এ ধরনের সহিংসতা সহ্য করবে না। গুজরাট কংগ্রেস সভাপতি বিষয়টির তদন্ত চেয়েছেন এবং শীঘ্রই সহিংসতার পিছনে থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’