Dhupguri By election: ধূপগুড়ির আকাশে 'বাইরন' মেঘ! ভোটে জিতলে ডিগবাজি খাব না, মঞ্চে সেলিমের সামনে শপথ সিপিএম প্রার্থীর

ধূপগুড়িতে দেখা গেল একেবারেই ভিন্ন ছবি। প্রখর রোদ উপেক্ষা করে ভিড় কিছু কম হয়নি। একটা সময় ধূপগুড়িতে বামেদের প্রভাব ভালোই ছিল। এখন আবার বাম-কংগ্রেস জোট। সভা ভরাতে এসেছিলেন অনেকেই। তার মধ্যে কানাঘুষো চলতে থাকে, ঈশ্বরচন্দ্র রায় আবার তৃণমূল হয়ে যাবেন না তো? এটাই তো ট্রেন্ড!

সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম

ধূপগুড়ির সিপিএম প্রার্থী ঈশ্বরচন্দ্র রায়। বেশ লাল জামা পরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ভোটপর্বে। লাল পতাকা নিয়ে কার্যত দিন রাত এক করে ঘুরছেন তিনি। কিন্তু এতসব কিছুর পরেও প্রশ্নটা থেকেই গেল, তিনি আবার সাগরদিঘির বায়রন বিশ্বাস হয়ে যাবেন না তো? অর্থাৎ নেতারা খেটেখুটে জিতিয়ে আনলেন আর তারপরের দিনই তিনি ঘাসফুল শিবিরে চলে গেলেন? তেমন কোনও নিশ্চয়তা কি দিতে পারবেন নেতারা? 

তবে এদিন ধূপগুড়িতে দেখা গেল একেবারেই ভিন্ন ছবি। প্রখর রোদ উপেক্ষা করে ভিড় কিছু কম হয়নি। একটা সময় ধূপগুড়িতে বামেদের প্রভাব ভালোই ছিল। এখন আবার বাম-কংগ্রেস জোট। সভা ভরাতে এসেছিলেন অনেকেই। তার মধ্যে কানাঘুষো চলতে থাকে, ঈশ্বরচন্দ্র রায় আবার তৃণমূল হয়ে যাবেন না তো? এটাই তো ট্রেন্ড! 

তবে সেক্ষেত্রে অবশ্য এদিন বড় পদক্ষেপ নিলেন সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম। তিনি  ঈশ্বরচন্দ্র রায়কে মঞ্চে ডেকে নেন। এরপর তিনি বলেন, কেউ কেউ বলছেন না সাগরদিঘি সাগরদিঘি? ঈশ্বরবাবুকেও বলতে হবে আপনারা তো ভোট দেবেন, ভোটের পরে উনি কী করবেন? 

এরপরই একেবারে পোড় খাওয়া সিপিএম নেতার মতোই ঈশ্বরচন্দ্র রায় বলেন, আমি বামফ্রন্ট মনোনীত কংগ্রেস সমর্থিত প্রার্থী হিসাবে শপথ করছি আপনারা যেভাবে আমাকে আশীর্বাদ করেছেন ৫ সেপ্টেম্বরও আশীর্বাদ করবেন। আপনাদের ছেড়ে আমি কোনওদিন কোনওভাবেই অন্য কোনও রাস্তায় যাব না। যাব না। কার্যত এভাবে বায়রনের সিঁদুরে মেঘকে এক লহমায় সরিয়ে দিলেন তিনি নিজেই। 

তবুও যেন সন্দেহ কিছুতেই .যাচ্ছে না। কারণ আগামী দিনে কী হবে , ভোটে যদি জিতে যান তবে কী করবেন ঈশ্বরচন্দ্র বিশ্বাস তা কেউ জানেন না। ভোটের পরের দিন থেকেই উল্টো সুর গাইতে থাকেন অনেকেই। সেরকম যাতে না হয় সেজন্য ভোটারদের মধ্য়ে আস্থা ফেরাতে আগাম ব্যবস্থা। তবে শেষ পর্যন্ত এতে কাজ কতদূর হয় সেটাই দেখার। তবে এদিন ধূপগুড়ির সভা থেকে একেবারে জোরকদমে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়ান কংগ্রেস ও সিপিএম।