২৩৪ আসন বিশিষ্ট তামিলনাড়ু বিধানসভার ম্যাজিক ফিগার ছিল ১১৮। সেই সংখ্যাকে অনায়াসে পার করে তামিল রাজনীতিতে উত্থান ঘটল এমকে স্ট্যালিনের। তামিলনাড়ুতে ডিএমকে জোট জয়ী বা এগিয়ে ১৪৩টি আসনে। এদিকে ক্ষমতায় থাকা এআইএডিএমকে-বিজেপি জোট ১০০-র গণ্ডিও পার করতে পারেনি। নার্ভাস নাইন্টিতেই আটকে যায় তারা।
উল্লেখ্য, এই প্রথম দ্রাবিড় রাজনীতির দুই স্তম্ভ, এম করুণানিধি এবং জে জয়ললিতা বিহীন ভোটযুদ্ধ দেখে তামিলনাড়ু। এরাজ্যে গত দশবছর ক্ষমতায় ছিল এআইএডিএমকে। তবে ২০১৬ সালে জয়ললিতার মৃত্যুর পর অন্তর্দ্বন্দ্বে জর্জরিত হয় এআইএডিএমকে। নিজেদের মধ্যে ক্ষমতার লড়াই শুরু করেন ও পনিরসেলভাম এবং এডাপাড্ডি কে পালানিস্বামী।
এদিকে করুনানিধির মৃত্যুর পর ডিএমকের মাথায় বসেন এমকে স্ট্যালিন। এআইএডিএমকে-র তুলনায় ডিমকে-র ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া অনেক বেশি মসৃণ ছিল। এই আবহে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ৩৯টির মধ্যে ৩৮টিতেই জিতেছিল ডিএমকে জোট। সেই হাওয়া ধরে রেখেই বিধানসভা নির্বাচনে বিশাল জয় পেল ডিএমকে।
২০১৬ সালে ডিএমকে পেয়েছিল ৯৮টি আসন। সেখান থেকে ৪৫টি আসন বেশি পেয়ে এবার সরকার গঠন করতে চলেছে ডিএমকে। অপরদিকে গত নির্বাচনে ১৩৬ আসন পাওয়া এআইএডিএমকে জোট থমকে গিয়েছে ৯০-এর ঘরে। গতবারের তুলনায় এবার তারা ৪৬টি আসন কম পেয়েছে।
এদিকে 'ডার্কহর্স' হিসেবে নির্বাচনী ময়দানে নামা এএমএমকে এবং এমএনএম সেভাবে দাগ কাটতে পারেনি। এমএনএম সুপ্রিমো তথা জনপ্রিয় অভিনেতা কমল হাসান নিজেও হেরে যান।