অস্বচ্ছতার কথা মেনে নিয়েও রাজনৈতিক দলগুলির নির্বাচনী বন্ডকে সমর্থন করছে নির্বাচন কমিশন। বুধবার সুপ্রিম কোর্টকে এই কথাই জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তবে নির্বাচন কমিশন এই কথাও জানিয়েছে, গোটা প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের তরফে আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশন এই নির্বাচনী বন্ডকে সমর্থন করছে। যদি সেটা না করে তাহলে কমিশনকে আগের অবস্থায় ফিরে যেতে হবে যেখানে রাজনৈতিক দলগুলিকে নগদে অনুদান দেওয়া হত। নির্বাচনী বন্ড মানে এক ধাপ এগিয়ে যাওয়া। সমস্ত বন্ডই ব্যাঙ্কের মাধ্যমে পাওয়া যাবে। কিন্তু এক্ষেত্রে স্বচ্ছতার বিষয়টিও খেয়াল রাখতে হবে, যেটা পরবর্তীকালে বিবেচ্য হবে।
এদিন নির্বাচনী বন্ডের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মামলাকারীর তরফে আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ আদালতকে জানান, কে এই বন্ড কিনছে। কোথায় সেটি ট্রান্সফার করা হচ্ছে, তা কিন্তু এক্ষেত্রে স্পষ্ট নয়। কেন এই স্বচ্ছতা থাকবে না। এর আগে শীর্ষ আদালত তার রায়ে জানিয়েছিল, নির্বাচনে স্বচ্ছতা বজায় রাখা একজন ভোটারের অধিকারের মধ্যে পড়ে। এটা তথ্য জানার অধিকারের মধ্যে পড়ে না। এটা গণতান্ত্রিক অধিকারের মধ্যে পড়ে।
এই পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রের তরফে আইনজীবী কে কে বেনুগোপাল জানিয়েছেন, বন্ড চেক বা ডিম্যান্ড ড্রাফ্টের মাধ্যমে কেনা যাবে। তবে কে এই বন্ড কিনছেন, সেটা এই কারণেই গোপন রাখা হয়েছে যাতে সেই ব্যক্তি পরবর্তীকালে হেনস্তার শিকার না হন।
উল্লেখ্য, আগামী ১ থেকে ১০ এপ্রিল নির্বাচনী বন্ড বিক্রির প্রক্রিয়ার ওপর স্থগিতাদেশের আর্জি জানিয়ে আদালতে মামলা করে অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্ম।যেহেত পশ্চিমবঙ্গ সহ ৫ রাজ্যে বিধানসভা ভোট। তাই এই বন্ড বিক্রির ওপর স্থগিতাদেশ চায় এই সংগঠন।