রাত পোহালেই কর্ণাটকে হাইভোল্টেজ বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এবার এক যোগে বিজেপি ও কংগ্রেসকে নোটিস পাঠাল নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের অভিযোগে বিজেপি ও কংগ্রেসকে নোটিস পাঠিয়েছে কমিশন। এই অভিযোগগুলি উঠে এসেছে, অসাংবিধানিক শব্দ ও ভুয়ো অভিযোগের ভিত্তিতে।
উল্লেখ্য, গত ৮ মে সংবাদপত্রে একটি বিজ্ঞাপন দেখা যায়। সেখানে ওই রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনে একটি ভুয়ো অভিযোগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই বিজেপিকে নোটিস পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সেই রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনে বিজেপি লিখেছে, কংগ্রেস ‘বিশ্বের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত পার্টি’। এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপিকে তার প্রমাণ দিতে বলেছে কমিশন। বিজেপির কর্ণাটকের প্রেসিডেন্ট নলীন কাতিলকে এই মর্মে একটি তথ্য প্রমাণ পেশ করতে বলেছে কমিশন। উল্লেখ্য, বিজেপির বিরুদ্ধে কংগ্রেসের অভিযোগের ভিত্তিতে এই পদক্ষেপ গৃহিত হয়েছে। এদিকে, কংগ্রেসকেও একই মর্মে নোটিস পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। যেখানে কংগ্রেস ‘দুর্নীতির রেট কার্ড’ বিষয়ক তথ্য তুলে ধরেছে। কংগ্রেসও তার বিজ্ঞাপনে ‘দুর্নীতির রেট কার্ড’ প্রসঙ্গ তুলে বিজেপিকে খোঁচা দিয়েছে।
( 'মনে হচ্ছে তাঁর নেত্রী রাজে, সনিয়া গান্ধী নন', গেহলোটকে নিয়ে বিস্ফোরক পাইলট)
এদিকে, কর্ণাটক বিধানসভা ভোটের মাঝে যে ইস্যুটি সবচেয়ে বেশি ঝড় তুলেছে, সেটি হল, ‘কর্ণাটকের সার্বভৌমত্ব’ প্রসঙ্গ। বিজেপি দাবি, সদ্য কংগ্রেসের টুইটার হ্যান্ডেলে সনিয়া গান্ধীর প্রচারের খবর নিয়ে যে বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে, সেখানে ‘কর্ণাটকের সার্বভৌমত্ব’ প্রসঙ্গ এসেছে। এই মর্মে কর্ণাটক যেহেতু দেশের একটি রাজ্য, তাই তার আলাদা সার্বভৌমত্ব হয় না বলে বিজেপি সরব হয়েছে। বিজেপির দাবি, এই বক্তব্যে দেশ থেকে কর্ণাটককে বিচ্ছিন্ন করতে চাইছে কংগ্রেস। সেই অভিযোগকে সামনে রেখে কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি। সেই অভিযোগ পাওয়ার পরই কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে, সনিয়া গান্ধীর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ব্যাখ্যা পেশ করতে বলা হয়েছে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup