সচিন সাইনি ও শ্রুতি তোমার
মধ্যপ্রদেশ আর রাজস্থানে ভোট। তার আগে নিজের মতো তরে ঘর গোছাতে শুরু করেছেন কংগ্রেস বিজেপি সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। তবে কংগ্রেস ও বিজেপি দুই শিবিরই এসসি-এসটি ভোটারদের উপর বাড়তি নজর রাখছে। কারণ এসসি-এসটি যার আসনও তার। এই ক্যাটাগরির ভোট যাদের হাতে থাকবে, তারাই এগিয়ে যেতে পারেন অনেকটাই। অতীতের অভিজ্ঞতা তেমনটাই বলছে। সেকারণে তাদের মন ভেজাতে চেষ্টার কোনও কসুর করছে না কংগ্রেস বা বিজেপি।
তেলেঙ্গানা , ছত্তিশগড় আর মিজোরামেও ভোট। নভেম্বরে এই তিনরাজ্যেও ভোট। আগামী ৩ ডিসেম্বর তিন রাজ্যে ভোটের ফলাফল বের হবে। তার আগে সংরক্ষিত আসন নিয়ে কার্যত দড়ি টানাটানি শুরু করে দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি।
রাজস্থানে ২০০টি আসনের মধ্য়ে ৫৯টি আসন সংরক্ষিত। তার মধ্য়ে ৩৪টি আসন এসসি সংরক্ষিত। আর ২৫টি আসন এসটি সংরক্ষিত। ওই রাজ্যে সংরক্ষিত ভোটার রয়েছেন ৩১.৫ শতাংশ। তার মধ্য়ে ১৭.৮৩ শতাংশ হল এসসি ও ১৩.৪৮ শতাংশ হল এসটি সংরক্ষিত।
এদিকে ২০০৮ সালের পরিসংখ্য়ান অনুসারে জানা গিয়েছে, ৫৯টি এসসি-এসটি আসনের মধ্যে কংগ্রেস জিতেছিলেন ৩৪টি আসনে, বিজেপি জিতেছিলেন ১৫টি আসনে, ও অন্যান্যরা জিতেছিলেন ১০টি আসনে। এর জেরে অনেকটাই এগিয়ে যায় অশোক গেহলটের দল। এমনকী মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারেও বসে পড়েছিলেন অশোক গেহলট।
২০১৮ সালের ভোটে দেখা যায় কংগ্রেস পেয়েছে ৩২টি আসন, বিজেপি ২০টা ও অন্যান্যরা ৭টা।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, গোটা রাজ্য জুড়েই এই সংরক্ষিত মানুষরা বসবাস করেন। তবে মধ্য, পশ্চিম ও উত্তর রাজস্থানে এই জনসংখ্যা সবথেকে বেশি। পশ্চিম ও মধ্য রাজস্থানে সবথেকে বেশি এসসি সংরক্ষিত মানুষজন বসবাস করেন।
দক্ষিণ রাজস্থানের মধ্য়ে উদয়পুর, দুঙ্গারপুর, বান্সওয়ারা এলাকায় এসসি জনসংখ্য়া তুলনায় কম। কিন্তু এসটি জনসংখ্যা বেশি।
এদিকে ২০২২ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত বার বার আদিবাসী অধ্য়ুষিত এলাকায় গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২০২৩ সালেও তিনি একাধিকবার গিয়েছেন।
আবার রাহুল গান্ধীও ২০২৩ সালের অগস্ট মাসে মানগড় ধামে গিয়ে বলেছিলেন, আদিবাসীরাই ভারতের আসল ভূমিপুত্র। আমার ঠাকুমা ইন্দিরা গান্ধী বার বার বলেছিলেন। কার্যত ভোট বাজারে এসসি এসটিদের জন্য দরদ উথলে পড়ছে কংগ্রেস-বিজেপি দুই দলেরই।