কেরল নির্বাচনের আগেই মেট্রোম্যান ই শ্রীধরণকে দলে নিয়েছিল বিজেপি। লক্ষ্য ছিল কেরলের শিক্ষিত ভোটারদের মনে জায়গা করা এবং কেরলে তাদের আসনের সংখ্যা বাড়ানো। তবে সে আশায় গুড়ে বালি। আসন সংখ্যা তো বাড়ল না বরং ২০১৬ সালে যেই একটি আসনে বিজেপি জিতেছিল, সেই আসনটাও হাতছাড়া হয়েছে বিজেপির। কড়া টক্কর দিলেও জিততে পারেননি মেট্রোম্যান নিজে।
৮৮ বছর বয়সি শ্রীধরণ কেরলের পালক্কড় আসন থেকে কংগ্রেস প্রার্থী তথা বিদায়ী বিধায়ক শাফি পরমবিলের কাছে ৩ হাজার ৮৫৯টি ভোটে হেরেছেন। উল্লেখ্য, গত বছর ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হওয়া স্থানীয় নির্বাচনে বিজেপি পালক্কড় পৌরসভাটি দখল করেছিল। এরপরই এই আসন নিয়ে আশা বেড়েছিল বিজেপির। গত নির্বাচনে ১৭ হাজার ভোটে জিতেছিলেন তিনি। সেই ব্যবধান কমলেও শেষ পর্যন্ত শ্রীধরণকে হারিয়ে জেতেন কংগ্রেস নেতা।
এদিকে বিজেপি রাজ্যের তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ দল হয়েও তাদের দখলে থাকা একমাত্র আসন নিমম খুইয়েছে এবারের নির্বাচনে। নিমম-এ এনডিএ জোট কেরলে বিজেপির সবচেয়ে শক্তিশালী নেতা কুম্মানাম রাজশেখরনকে প্রার্থী করেছিল। তিনি মিজোরামের প্রাক্তন রাজ্যপাল। এ ছাড়া মেট্রো ম্যান ই শ্রীধরনকে প্রার্থী করেও মানুষের মন জয়ের চেষ্টা চালিয়েছিল বিজেপি। তবে শত চেষ্টাতেও কেরলে এবার খাতা খুলতে পারেনি বিজেপি। এই আবহে ইউডিএফ-কে সরিয়ে বিজেপি কি রাজ্যে বিরোধী দল হয়ে উঠতে পারবে? এদিকে বামেদের ঐতিহাসিক জয়ের পর মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বললেন, কোনও ধর্মীয় বিভাজন বরদাস্ত করবে না কেরল।