আইআইটি খড়গপুরের রিচার্স ফেলো তিনি। মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় নিজের নির্বাচনী হলফনামা এমনটা দাবি করে করেছেন বিজেপি প্রার্থী হিরন্ময় চট্টোপাধ্যায়। এই তথ্য সঠিক নয় বলে দাবি করল আম আদমি পার্টি। সঠিক তথ্য কি তা জানানোর জন্য দাবি জানালো তারা। একই সঙ্গে বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনেও অভিযোগ জানিয়েছে তারা। এ নিয়ে কমিশনের কাছে তাঁরা তদন্ত দাবি করেছে। তদন্তে তাদের দাবি সত্যি হলে অবিলম্বের হিরণের প্রার্থীপদ বাতিলের দাবি জানিয়েছে আপের পশ্চিমবঙ্গ শাখা। যদিও হিরণ জানিয়েছেন, আপে দাবি সঠিক নয়। তাঁর কাছে আইআইটি খড়গপুরের রিসার্চ ফেলোর নথি রয়েছে।
আম আদমি পার্টির পশ্চিমবঙ্গের মুখপাত্র অর্ণব মৈত্র জানান, ‘ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী আইআইটি খড়গপুরের রিসার্চ ফেলো কিনা তা আমরা আরটিআই করে জানতে চেয়েছিলাম। আইআইটির পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি সংস্থার রিসার্চ ফেলো নন। তার সঙ্গে কোনও ভাবে আইআইটির যোগ নেই।’
আরও পড়ুন। বাকি ২ দফার ভোট, এরই মাঝে BJP-র সম্ভাব্য আসন সংখ্যা জানালেন মার্কিন বিশেষজ্ঞ
এর পরই তাঁরা কমিশনের দ্বারস্থ হন। হলফনামায় যে ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছে তা জানিয়ে অবিলম্বে কমিশনকে বিষয়টি তদন্ত করে দেখতে বলেন তাঁরা। তদন্ত যদি দেখা যায় হিরণ ভুল তথ্য দিয়েছে, তবে তাঁর প্রার্থীপদও বাতিলের দাবি তোলে আপ।
একই সঙ্গে আপের অভিযোগ, যে শিক্ষা সংস্থা থেকে হিরণ পিএইচডি করেছেন সেটিও ভুয়ো। সংস্থাটির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে ইডি তদন্ত করছে বলে জানিয়েছে আপ।
আরও পড়ুন। ‘ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান’ নিয়ে কোনও কথা বললেন না অমিত শাহ, দেব প্রসঙ্গেও নিশ্চুপ
হিরণ অবশ্য একটি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাঁর পিএইচডি হয়ে গিয়েছে। তিনি খড়গপুর আইআইটির এক অধ্যাপকের কাছে পিএইচডি করেছেন। কেন সেখান থেকে এই ধরনের তথ্য দেওয়া হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অভিনেতা তথা ঘাটালের প্রার্থী। এর পিছনে তৃণমূলের হাত রয়েছে বলে তাঁর দাবি। ভোট মিটলে তিনি আইআইটি খড়গপুরের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
হিরণের দাবি, তাঁর পিএইচডি আগেই হয়ে গিয়েছে। খড়্গপুর আইআইটি থেকে তিনি ‘পোস্ট পিএইচডি’ করছেন এবং তাঁর এই গবেষণা ‘স্পনসর্ড’। বেসরকারি এক সংস্থার হয়ে খড়্গপুর আইআইটির এক অধ্যাপকের কাছে তিনি গবেষণা করছেন।
আরও পড়ুন। আন্দোলনের সন্দেশখালিতে মুক্ত বাতাস নিচ্ছে শুধু বিরোধীরা নয় শাসকদলের একাংশও