প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দিকে ফোন ছোড়েন এক বিজেপি মহিলা কর্মীই। এমনই দাবি করল কর্ণাটক পুলিশ। সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কর্ণাটক পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে যে ওই মহিলার কোনও খারাপ মতলব ছিল না। স্রেফ উত্তেজনার বশে ওই মহিলা মোবাইল ছোড়েন। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপের (এসপিজি) সদস্যরা সেই মহিলাকে ফোন ফিরিয়ে দিয়েছেন বলে দাবি করেছে কর্ণাটক পুলিশ।
রবিবার রাতে কর্ণাটকের মাইসুরুতে রোড শোয়ের সময় মোদীর দিকে ফোন ছোড়া হয়। সেইসময় মোদী হাত নাড়ছিলেন। তাঁর হাতের একেবারে পাশ দিয়ে ফোনটা বেরিয়ে গিয়ে বিশেষ গাড়ির বনেটে পড়ে। পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেই বিষয়টি নজর এড়ায়নি প্রধানমন্ত্রী মোদীর। দ্রুত এসপিজির কম্যান্ডোদের জানান তিনি। সংবাদসংস্থা এএনআইয়ের টুইট করা ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে মোদীর গাড়িতে দু'জন এসপিজি কম্যান্ডো ছিলেন।
আরও পড়ুন: Mobile thrown at PM Modi: মোদীর গাড়িতে ছোড়া হল মোবাইল! ভয়ংকর ঘটনা কর্ণাটকে, বড়সড় গলদ নিরাপত্তায়
পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কর্ণাটক পুলিশের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল (আইন-শৃঙ্খলা) অলোক কুমার বলেছেন যে ‘প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকে এসপিজি। ওই মহিলা একজন বিজেপি কর্মী। তাঁকে ফোন ফেরত দিয়ে দেন এসপিজি কম্যান্ডোরা। (ওই অনুষ্ঠানের) উত্তেজনার বশে তিনি ফোন ছুড়ে দেন। তাঁর কোনও খারাপ মতলব ছিল না। আমরা ওই মহিলাকে চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি, কারণ তাঁকে ফোন ফিরিয়ে দেন এসপিজি কম্যান্ডোরা।’
যদিও পুরো ঘটনার জেরে মোদীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে। মাসকয়েক আগে এই কর্ণাটকেই রোড শোয়ের সময় মোদীর নিরাপত্তা বলয় ভেঙে এক ব্যক্তি ঢুকে এসেছিলেন। বছরখানেক আগে পঞ্জাবেও মোদীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গলদ ধরা পড়েছিল। তার জেরে স্বভাবতই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় যদি এরকম গলদ থাকে, তাহলে তো যে কেউ মোদীর কাছে চলে আসতে পারেন। তারইমধ্যে কংগ্রেস নেতা শ্রীনিবাস বলেন, 'এটা অত্যন্ত গুরুতর বিষয়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের এখনই ইস্তফা দেওয়া উচিত।'
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)