৪০ আসনের গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে ২১ এর টার্গেট পাখির চোখ করেছে একাধিক রাজনৈতিক দল। ২০২২ বিধানসভা নির্বাচনে এই সমুদ্রপাড়ের এলাকায় ইতিমধ্যেই ভোট পর্ব সম্পন্ন হয়েছে। বিজেপি, কংগ্রেসের মতো জাতীয় রাজনীতির তাবড় নামের মাঝেও গোয়ার ভোটে আলাদা করে ছাপ ফেলেছে স্থানীয় রাজনৈতিক বহু দল। এছাড়াও এখানের ভোটে নজক কেড়েছে তৃণমূল ও আম আদমা পার্টির স্টান্স। এই পরিস্থিতিতে ১০ মার্চ প্রকাশিত হবে গোয়ার ফলাফল। তবে তার আগে ফলাফলের আভাস উঠে এসেছে বুথ ফেরত সমীক্ষায়।
বিভিন্ন বুথ ফেরত সমীক্ষা থেকে দেখা যাচ্ছে, গোয়ার বুকে ত্রিশঙ্কু হতে পারে সমীকরণ। ইন্ডিয়া টুডে অ্যাক্সিস মিডিয়া বলছে, গোয়ায় কংগ্রেস পাবে ১৬ থেকে ২০ আসন, বিজেপি-১৪ থেকে ১৮ টি। টাইমস নাও বলছে বিজেপি ১৪, কংগ্রেস১৬ আসন ধরে রাখবে গোয়ায়, রিপাবলিক এম মার্ক বলছে, কংগ্রেস-বিজেপি দুই দলই ১৩-১৭ টি আসন পেতে পারে। এবিপি সিভোটারের দাবি বিজেপি ১৩ থেকে ১৭ পেলেও কংগ্রেস ৫-৯ ও তৃণমূল এমজিপি জোট পেটে পারে ৫-৯ আসন। এই পরিস্থিতি হলে গোয়া ভোটের ফলাফল ত্রিশঙ্কু হতে পারে। এমন এক সমীকরণের নিরিখে কংগ্রেসের দাবি,' আমরা আমাদের সংখ্যা গরিষ্ঠতা প্রতিষ্ঠা করব। ২০১৭ সালেও বুথ ফেরত সমীক্ষা দেখিয়েছিল যে বিজেপি জিতবে, আমাদের সেবার দ্বিতীয়স্থানে রাখা হয়। আসল ফলাফলে সব উল্টে যায়। আমাদের মানুষের ভোটে আস্থা রয়েছে।' এদিকে, বিজেপির তরফে সদানন্দ শেঠ বলছেন, 'আমরা সম্পূর্ণ সংখ্যা গরিষ্ঠতা পাব।'
এদিকে, বুথ ফেরত সমীক্ষায় বহু সমীক্ষাই বলছে, বিজেপি ও কংগ্রেস যদি হাড্ডাহাড্ডি লড়াইতে চলে যায়,তাহলে আম আদমি পার্টির মতো কোনও দল কিং মেকার হতে পারে। সেক্ষেত্রে তুরুপের তাস হতে পারে কোনও স্থানীয় দলও। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েও মসনদ হাতছাড়া হয় কংগ্রেসের। এরপর গোয়ায় তার আর 'রিপিট টেলিকাস্ট' এ রাজি নয় কংগ্রেস। ফলে ভোটের গণনা থেকেই কোমর বাঁধতে শরু করেছে হাত শিবির। ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টির সঙ্গে আলোচনা করতে শুরু করে দিয়েছে কংগ্রেস।