সামনেই গুজরাতের হাইভোল্টেজ বিধানসভা নির্বাচন। সেখানে একের পর এক হেভিওয়েট নেতার নাম উঠে আসছে প্রার্থী তালিকায়। এদিকে, সেই জায়গায় নতুন করে লাইমলাইট কেড়ে নিয়েছেন মহেন্দ্র পাতানি। না! কোনও দলীয় প্রার্থী নন। মহেন্দ্র নির্দল প্রার্থী। গড় দখলের লড়াইতে যেখানে গুজরাতের ১৮২ টি আসনে জোরদার লড়াইয়ে নামী মুখ উঠে আসছে, সেখানে মহেন্দ্র পাতানি পেশায় দিন মজুর।
বিশেষ কোনও পার্টিগত পরিচিতি নয়। বিশেষ কোনও দাপুটে দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতাও নন। তবে সব ছআপিয়ে মহেন্দ্র প্রতানির ভোট লড়াই উদ্যোগকেই স্বাগত জানাচ্ছেন তাঁর বন্ধুরা। যাঁদের সকলের উদ্যোগে, মানুষের থেকে ১ টাকা করে নিয়ে কোনও মতে পাওয়া গিয়েছে, ভোটে লড়ার ডিপোজিটের টাকা। সকলের উদ্যোগে মহেন্দ্র পাতানি মোট ১০ হাজার টাকা জমা দিয়ে নির্বাচন কমিশনের থেকে প্রার্থী পদের সম্মতি পেয়েছেন। এবার লড়াই নজরে। উল্লেখ্য, গান্ধীনগর উত্তর কেন্দ্র থেকে এই নির্দল প্রার্থী মহেন্দ্র পাতানি নির্বাচন লড়ছেন। গুজরাতের একটি বস্তি এলাকায় বসবাস মহেন্দ্রর। যে এলাকায় রয়েছে ৫২১ টি ঘর। আর সেই প্রতিটি ঘরের ভোটদাতারা বলছেন, তাঁরা মহেন্দ্রকেই ভোট দেবেন। গান্ধীনগরের মহত্মা গান্ধী মন্দিরের কাছে এই বস্তি। তিন বছর আগে সেই বস্তি ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। অন্যভাবে ঘর তৈরি করে বসবাস করতে হয় বাসিন্দাদের। আর সেই প্রতিটি পরিবারই বলছে, তাঁরা মহেন্দ্রর সঙ্গে রয়েছে। লড়াই অসম। লড়াই খানিকটা অন্যরকমের। তবে লড়াই যেমনই হোক, তাতে মাথা নোয়াতে বিনা যুদ্ধে রাজি নন খোদ মহেন্দ্র পাতানি।
গুজরাতের এমন এক বস্তি এলাকার বাসিন্দা এই নির্দল প্রার্থী, যে বস্তি পর পর ২ বার ভেঙে দেওয়া হয়। ২০১০ সালে বস্তি সরিয়ে সেখানে মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতি হিসাবে ডান্ডি কুটির মিউজিয়াম নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তখনও বাসস্থান চলে যাওয়ার পর মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছিল মহেন্দ্রর মতো অনেকের। এরপর ২০১৯। সেই সময় এলাকায় এক হোটেল তৈরির জন্য বস্তি সরিয়ে দেওয়া হয়। বিপাকে পড়েন মহেন্দ্ররা। সেই সমস্ত অধ্যায়কে বুকে নিয়ে এবার ২০২২ গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনে ভোটের লড়াইয়ে নির্দল প্রার্থী মহেন্দ্র পাতানি।