আরও একবার দিল্লিতে শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ড নিয়ে সরব হলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। ভোটমুখী গুজরাটে বিজেপির প্রচার মঞ্চ থেকে ফের একবার লাভ জেহাদকে কাঠগড়ায় রেখে নিজের বক্তব্য রাখেন হিমন্ত। প্রসঙ্গত, হিমন্ত বলেন, শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডে, আফতাব পুনাওয়ালার হিন্দু মহিলাদের সঙ্গে ডেট করার নেপথ্যে ছিল সংবেদনশীলতার কারণ। সেই প্রসঙ্গ তুলেই হিমন্ত আক্রমণ শানান।
হিমন্ত বিশ্বশর্মা গুজরাটে ভোটে বিজেপির মঞ্চ থেকে দাবি তোলেন, দেশে লাভ জেহাদ রোখার জন্য কঠোর আইন প্রয়োজন। প্রসঙ্গত, শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গ এদিনও তুলতে দেখা যায় অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে। যে হত্যাকাণ্ডে লাভ জেহাদ প্রসঙ্গ বারবার উঠে আসছে বহু আলোচনায়। এদিকে, গুজরাটে বিজেপির মঞ্চ থেকে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, আফতাবরা সব শহরেই থাকতে পারে, যদি দেশে কড়া নেতা না থাকেন। হিমন্ত বলেন, ‘সেই কারণেই ফের একবার নরেন্দ্র মোদীকে দেশের প্রধানমন্ত্রী করে তোলা প্রয়োজন তৃতীয়বারের জন্য , ২০২৪ সালের ভোটে।’ হিমন্ত দাবি তোলেন, লাভ জিহাদ রুখতে ইউনিয়ন সিভিল কোড প্রয়োজন। এদিকে, শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে মুখ খুলে হিমন্ত বলেন, ‘কোন এক পুলিশ কর্মী আফতাবকে প্রশ্ন করেছিলেন যে, কেন সে বেছে বেছে হিন্দু মহিলাদেরই ডেট করতেন? উত্তরে আফতাব বলেছিলেন, হিন্দুরা খুব আবেগপ্রবণ হয়। দেখুন এটা শুধু একটি আফতাবের কাহিনি নয়। দেশে এমন বহু আফতাব আর শ্রদ্ধা রয়েছে। আর দেশের প্রয়োজন একটি কড়া আইন লাভ জেহাদের বিরুদ্ধে।’
প্রসঙ্গত, হাড়হিম করা দিল্লি হত্যাকাণ্ড ঘিরে পর পর চাঞ্চল্যকর তথ্য আসতে শুরু করেছে। শ্রদ্ধাকে হত্যার ৬ মাস পরে ধরা পড়েছে অভিযুক্ত আফতাব। শ্রদ্ধার সঙ্গে তাঁর পরিবারেরযোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় শ্রদ্ধার বাবা দ্বারস্থ হন পুলিশের। খোঁজ শুরু হয়। ততদিনে সোশ্যাল মিডিয়াতেও শ্রদ্ধার পোস্ট নেই। তদন্তে এগোতেই আফতাবের তথ্য উঠে আসে। অভিযুক্ত গ্রেফতার হয়। জানা যায়, ১৮ মে শ্রদ্ধাকে হত্যা করে আফতাব। পরে শ্রদ্ধার দেহ ৩৫ টি টুকরো করে দিল্লিতে বিভিন্ন জায়গায় সে ছড়িয়ে দেয়।