ভোট না দিলে জরিমানা হবে ৫১ টাকা। এমনই 'নিয়ম' নিজের মতো করে ঠঠিক করে ফেলছে গুজরাটের রাজকোটের গ্রাম রাজসমধিয়ালা। প্রাপ্ত বয়স্ক সকলকে এই গ্রামে ভোট দিতে যেতেই হবে, এমনই অলিখিত বিধি জারি হয়েছে বলে খবর। রাজকোটের মূল শহর থেকে ২১ কিলোমিটার দবরের এই গ্রামে বহু ধরনের নিয়ম রয়েছে ভোট ঘিরে। আর তার কিছু নিয়ম ১৯৮৩ সাল থেকে চলে আসছে।
ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহেই গুজরাটের হাইভোল্টেজ বিধানসভা নির্বাচন। ভোট ঘিরে নরেন্দ্র মোদীর ঘরের মাঠ গুজরাটে ব্যাপক রাজনৈতিক তোলপাড়। কংগ্রেস ও আপ হল বিজেপির মূল দুই প্রতিদ্বন্দ্বী এই বছর। সেখানে শাসকদল বিজেপির টার্গেট ভোট শতাংশ বাড়িয়ে গুজরাটের মসনদে পোক্ত অধিষ্ঠান। আর এমন এক ক্যানভাসে ক্রমেই উজ্জ্বল হচ্ছে গুজরাটের রাজকোটের রাজসমধিয়ালা গ্রাম।
গুজরাটের ভোটের জন্য ইতিমধ্যেই তাবড় রাজনীতিবিদদের আনাগোনা দেখা যাচ্ছে। সেখানে ভোট প্রচারে নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ থেকে যোগী আদিত্যনাথ, হিমন্ত বিশ্বশর্মাদের দেখা গিয়েছে। তবে এঁরা গুজরাটের মাটি ছুঁলেও কিছুতেই প্রবেশ করতে পারবে না রাজকোটের রাজ সমধিয়ালা গ্রামে। শুধু তাই নয়, এই গ্রামে কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি কেউই ভোট প্রচারে যেতে পারবে না। কারণ এই গ্রাম চায় তার বাসিন্দারা সকলে ‘সমান অধিকার’ নিয়ে ‘আদর্শ’ সঙ্গে নিয়ে বাঁচুক। গ্রামের নিয়মাবলী নিয়ে একটি বোর্ডও রয়েছে সেখানে।
গ্রামের নিয়মের মধ্যে রয়েছে, জাতিভেদ অনুসারে জল বা জমি বণ্টন হবে না। এমনকি পরিবেশ স্বচ্ছ্ব রাখা, বৃদ্ধ বাবা মার দায়িত্ব নেওয়া, শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষা আবশ্যিক করা, সমেত একগুচ্ছ নিয়ম রয়েছে এই গ্রামে। এছাড়াও পাবলিক প্লেস নোংরা করা, মদ্যপান, গাছ কাটার মতো বিষয়েও রয়েছে নিষেধ। সবমলিয়ে ভোটমুখী গুজরাটে আলাদা করে নজর কাড়ছে গুজরাটের এই গ্রাম।