মেলভিন থমাস
গুজরাটের আদিবাসী অধ্য়ুষিত এলাকায় বড় জয় পেল বিজেপি। দক্ষিণ গুজরাটের আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় বিজেপি একাধিক আসনে এগিয়ে রয়েছে। সুরাট, তাপি, ভারুচ জেলায় যথেষ্ট এগিয়ে রয়েছে বিজেপি।
পূর্ব গুজরাটে গোটা দেশের অন্তত ৮.১ শতাংশ তফশিলি জাতিভুক্ত মানুষরা থাকেন। আর সেখানেও চওড়া হাসি গেরুয়া শিবিরে। ২০১১এর জনগণনা অনুসারে গুজরাটের আদিবাসীর জনসংখ্যা প্রায় ৮৯.১৭ লাখ। অর্থাৎ মোট জনসংখ্যার ১৫ শতাংশ আদিবাসী জনসংখ্যা। এই আদিবাসী মানুষরা রাজ্যের ১৪টি পূর্বাঞ্চলীয় জেলায় ও ৪৮টি তালুকে ছড়িয়ে রয়েছেন।
পরিসংখ্যান বলছে সেই ২০০২ সাল থেকে পূর্ব গুজরাটে পা ফেলতে চাইছিল বিজেপি। কংগ্রেসেরই এখানে আধিপত্য ছিল এতদিন। ২০১৭সালে গুজরাটের ২৭টি এসটি সংরক্ষিত আসনের মধ্যে ১৫টিতে জয় পেয়েছিল কংগ্রেস। ৮টি আসনে জয় পেয়েছিল বিজেপি। ভারতীয় ট্রাইবাল পার্টি দুটি আসন পেয়েছিল। একজন নির্দল প্রার্থী পেয়েছিলেন ১টি আসন।
এদিকে এবার গুজরাট ভোটের আগে আদবাসীদের মন জয়ে কার্যত ঝাঁপিয়ে পড়়েছিল বিজেপি। মোদী ম্যাজিকও কাজ করে আদিবাসী এলাকায়। শুরু হয়েছিল গৌরব যাত্রা।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এবার আদিবাসী এলাকায় ভোট কাটাকুটির খেলায় পেছনে পড়ে গিয়েছে কংগ্রেস। একাধিক আসনে মনে করা হচ্ছে আপ কংগ্রেসের প্রচুর ভোটে ভাগ বসিয়েছে। আর তার জেরে এগিয়ে গিয়েছে বিজেপি। একাধিক আদিবাসী এলাকায় দেখা যাচ্ছে একেবারে সরাসরি বিজেপি ও আপের মধ্য়ে লড়াই হচ্ছে।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ ঘনশ্যাম শাহ জানিয়েছেন, কংগ্রেসের পরাজয়ের একটা বড় কারণ আপ। আপ সহ অন্যান্য পার্টি ভোট কংগ্রেসের ভোট কেটেছে। যার জেরে এগিয়ে গিয়েছে বিজেপি। একাধিক ট্রাইবাল আসনে আপ কংগ্রেসের ভোটে ভাগ বসিয়েছে। যার জেরে জয় পেয়ে গিয়েছে বিজেপি। তাছাড়া একাধিক কংগ্রেসের ট্রাইবাল নেতা সম্প্রতি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।
একটু পেছন ফিরলে দেখা যায় ৯০ এর দশকের শেষ দিকে স্বামী অসীমানন্দ আদিবাসী এলাকায় হিন্দুত্ব ভোটকে এককাট্টা করার চেষ্টা করেন। আর প্রশ্নাতীতভাবে নরেন্দ্র মোদী অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে আদিবাসী ভোট ব্যাঙ্ককে নিজেদের অনুকূলে আনতে যথেষ্ট সচেষ্ট হয়েছিলেন। সমবায় ও ডায়েরি সংক্রান্ত একাধিক স্কিম আদিবাসীদের মন জয়ে সক্ষম হয়েছিল। আর তার ফলও মিলেছে এবার হাতে নাতে।