টানা ২৭ বছর ধরে গুজরাটে সরকার গঠন করে শাসন করছে বিজেপি। তবে ২০২২ সালে এবার কংগ্রেস কী অপেক্ষার অবসান ঘটাতে পারবে? গুজরাটের বিধানসভা নির্বাচনের আবহে এখান এটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর মিলবে ৮ ডিসেম্বর। তবে ভোটের আগে জনগণের মেজাজ জানার চেষ্টা করছে সমীক্ষক সংস্থাগুলি। বেশির ভাগ সংস্থাই দাবি করেছে, গুজরাটে ফের বিজেপি সরকার গড়তে পারে।
এদিকে সমীক্ষক সংস্থাগুলির জরিপ বলছে, এবারের নির্বাচনে আম আদমি পার্টিও গুজরাটে নিজেদের জমি শক্ত করতে পারে। অপরদিকে যেই কংগ্রেস ২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে কঠিন লড়াই দিয়েছিল, তাদের পায়ের তলা থেকে জমি নড়বড়ে হতে চলেছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, বিজেপি-বিরোধী ভোটের বিভাজনের কারণে কংগ্রেসের ক্ষতি হতে পারে। এবং এই গোটা ভোট কাটাকাটির সমীকরণে বিজেপি লাভবান হতে পারে।
বৃহস্পতিবার রিপাবলিক ভারত এবং পি মার্কের প্রকাশিত সমীক্ষায় বলা হয়েছে যে ২৭ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকার পর এবারও বিজেপি ক্ষমতায় ফিরতে চলেছে গুজরাটে। জনমত সমীক্ষায় দাবি করা হচ্ছে বিজেপি ১২৭ থেকে ১৪০ আসন পেতে পারে নির্বাচনে। সেখানে কংগ্রেস জিততে পারে মাত্র ২৪ থেকে ৩৬টি আসন। আম আদমি পার্টি ৯ থেকে ২১টি আসন পেতে পারে। অন্যদের খাতায় ০-২ আসনের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে সমীক্ষায়।
উল্লেখ্য, ১৯৯৫ সাল থেকে গুজরাটে টানা ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। ১৮২ আসন বিশিষ্ট গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে ২০১৭ সালে অবশ্য খুব সংখ্যক আসনের ব্যবধানে জয়ী হয়েছিল বিজেপি। ২০১৭ সালে ৪৭ শতাংশ ভোট পেলেও বিজেপির আসন সংখ্যা ছিল ৯৯। কংগ্রেস সেখানে জিতেছিল ৭৭টি আসন। তবে এবারের নির্বাচনে আম আদমি পার্টি যেভাবে ঝাঁপিয়েছে, তাতে ত্রিমুখী নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে গুজরাটে। গত একবছরে যেখানে প্রধামন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ১২ বার গুজরাটে গিয়েছেন, সেখানে অরবিন্দ কেজরিওয়াল ২০ বার গুজরাটে পা রেখেছেন সাম্প্রতিককালে। তবে রাহুল গান্ধী গুজরাটে গিয়েছেন মাত্র ৩ বার।